স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী আশিস বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ। অভিযোগ একাংশ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের টিকরহাটের মৈত্রী সংঘ ক্লাবের দখল নিয়ে। তৃণমূল কর্মী আশিস বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে ওই ক্লাবের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই ক্লাবের দুর্গামন্দিরের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি। আশিস বিশ্বাসের অভিযোগ, কিছু সমাজবিরোধী নিজেদের দাপট কায়েম করতে চাইছে তারাই এটা করেছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, “আমার এলাকায় জনপ্রিয়তা সহ্য হচ্ছে না। ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলাম। সেটাও সহ্য হয় নি। কামাই করা বন্ধ করে দিয়েছি। তাই এই অপপ্রচেস্টা।” যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা একুশ সালের পর তৃণমূল করছে বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। অভিযোগ সামনে আসতেই স্বভাবতই অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দল তৃণমূলের।
আশিস বিশ্বাসের স্ত্রীর অভিযোগ, “আমার ছেলে নিউমোথোরাক্স এর রোগী। তাকে পর্যন্ত মারধর করা হয়েছে। দেওয়াল আলমারি, টিভি ভাংচুর করা হয়েছে। এমনকি বাগানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ২০২১ সালে এদের অনেকেই তৃণমুলের হয়ে খাটে নি, কিন্তু আমার স্বামী সব সময়েই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত আছে। যারা আজ তার বাড়িতে ভাঙচুর চালালো তার সবাই আগে বিজেপি করতো। বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় শুরু হয়েছে জল্পনা।
পুরো বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা তন্ময় ভট্টাচার্য নাম এক ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়। যদিও তিনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই বিষয়ে বিধায়ক খোকন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।