রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাইরন ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিমান। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে দূরে সরে গিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। সাগরদিঘি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছিল। আপনার দেখেছেন নব নির্বাচিত বিধায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি তৃণমূলের লোক এবং তৃণমূলের ভোটেই তিনি জিতেছেন। আমাদের প্রার্থী নির্বাচনে হয়তো কোনও ত্রুটি ছিল। তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা, সেটা আমি বলতে পারব না।”
কয়েকমাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও অবধি দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। সেই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “না না হবে। খুব শীঘ্রই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে মনে হয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেই পঞ্চায়েত ভোট হবে। পরীক্ষার জন্য নির্বাচন কমিশন অপেক্ষা করে রয়েছে।”
শনিবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন বাইরন। বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি। বাইরন বলেন, “অনেকেই বলছে আমি বিজেপির সমর্থন পেয়েছি। কিন্তু আমি বিজেপির থেকে বেশি তৃণমূলের সমর্থন পেয়েছি। তৃণমূল খুব ভালোভাবেই আমাদের সমর্থন করেছে।”
অন্যদিকে বিধায়ক নির্বাচিত হলেও এখনও শপথগ্রহণ হয়নি বাইরনের। সেই কারণে তিনি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনেও অংশ নিতে পারছেন না। বাইরনের শপথগ্রহণ দ্রুত করতে শনিবার তাঁকে নিয়ে রাজ্যভবনে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রার্থী নিয়ে সমস্যার পাশাপাশি এই হারের কারণ হিসেবে অনুন্নয়নকেও দায়ী করা হয়েছে। সাগরদিঘির ফল থেকে শাসকদল কী শিক্ষা নেয়, সেটাই এখন দেখার।