Santanu Banerjee : শান্তনুর সম্পত্তির তল পেতে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকেও তলব ইডি-র – ed summons santanu banerjee wife to know details informations about his property


এই সময়, কলকাতা ও চুঁচুড়া: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। কিন্তু সেই টাকা কোথায়, কী ভাবে জমা করা হয়েছে বা কোথায় পাচার হয়েছে, এখন তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই সূত্রেই শান্তনু ও তাঁর আত্মীয়দের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি ও একাধিক কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি।

Shantanu Banerjee: বলাগড় শান্তনুকে চেনে ‘পাকা মাগুর’ নামে, অগাধ সম্পত্তির মালিককে কেন ডাকা হত এই নামে?
এই সম্পত্তির সঙ্গে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ আছে বলেও তদন্তকারীরা জেনেছেন। তিনি এই সব কোম্পানি ও সম্পত্তির বিষয়ে জানতেন কি না, কী ভাবে, কত টাকা দিয়ে তা কেনা হয়েছিল, সংস্থাগুলির কাজকর্ম কী ভাবে চলত – তা জানতে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথা বলতে চান তদন্তকারীরা। এ সপ্তাহেই নথিপত্র নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে।

WB Recruitment Scam : আঁতাঁত ‘ত্রিমূর্তি’র, চাকরির কুশীলব কুন্তল-তাপস-শান্তনু
এ ব্যাপারে রবিবার প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও শান্তনুর আইনজীবীরা আগেই জানিয়েছেন, যাবতীয় আর্থিক লেনদেন ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ইডিকে দিতে চেয়েছিলেন শান্তনু। ইডি জমা নেয়নি। ইডি-র দাবি, শান্তনুর স্ত্রী ও বেশ ক’টি সংস্থার নামে অনেক অস্থাবর সম্পত্তি কেনা হয়েছে। এই ফার্ম ও কোম্পানির মাধ্যমে বেশ ক’টি বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনও হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির মানি-ট্রেইল খুঁজে বের করতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার।

Recruitment Scam : ম্যারথন জেরা শেষে নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র হাতে গ্রেফতার শান্তনু
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামেও একাধিক কোম্পানির হদিশ মিলেছিল। এমন বেশ কিছু কোম্পানির হদিশ মিলেছিল, যেখানে সামান্য বেতনে সাধারণ কর্মচারী, পরিচারককেও ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়েছে। শান্তনুর ক্ষেত্রেও যে সব ফার্ম ও কোম্পানির হদিশ মিলেছে, সেগুলির ডিরেক্টর কারা ছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।

Santanu Banerjee : রাজনীতিতে উল্কার গতিতে উত্থান, কী ভাবে দুর্নীতিতে জড়ালেন হুগলির শান্তনু?
প্রিয়াঙ্কার থেকে এ নিয়ে জানতে চাইবে ইডি। ইডি জেনেছে, বলাগড়ের রেস্তরাঁ শান্তনুর হলেও খাতায় কলমে কর্ত্রী প্রিয়াঙ্কাই। শান্তনুর বিভিন্ন কোম্পানির ডিরেক্টর থেকে শুরু করে জমির মালিকানাও রয়েছে তাঁর নামে। আছে বাংলো বাড়ি। শনিবার আদালতে ইডি দাবি করেছিল, ওই সব সম্পত্তি কেনা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়। যে কোম্পানিগুলি খোলা হয়েছিল, তার আর্থিক লেনদেনেও গরমিল ধরা পডে়ছে।

Santanu Banerjee : সিমকার্ডের দোকান থেকে ধাবা, রিসর্টের মালিক! শান্তনুর উত্থানে হতবাক পড়শিরা
বলাগড়ের আসাম রোডে ২০২২-এ উদ্বোধন হয় শান্তনুর রেস্তরাঁর। অভিযোগ, সেখানে একটা পুরোনো বাড়িতে থাকত চারটি পরিবার। প্রভাব খাটিয়ে সামান্য টাকায় ওই জমি কিনে জোর করে তুলে দেওয়া হয় পরিবারগুলোকে। রেস্তারাঁয় রয়েছে বিশাল লাউঞ্জ থেকে হুক্কাবারও রয়েছে। ইডি-র দাবি, শান্তনু-প্রিয়াঙ্কা এই সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মাত্র ৮ বছরে। ছেলের নামে একটি নির্মাণ সংস্থাও খোলেন শান্তনু। অভিযোগ, বলাগড়ের পাশাপাশি চুঁচুড়াতেও প্রোমোটিং ব্যবসা শুরু করেন শান্তনু।

Santanu Banerjee : শান্তনুকে টাকা দিলে কি সরকারি দফতরে বদলিও, মিলেছে নথি, আদালতে লিখিত দাবি ইডির
চুঁচুড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ‘ময়ূরপঙ্খী’ ঘাটে বহুতল নির্মাণের জন্য দোতলা বাড়ি-সহ একটি জমি কেনেন। চুঁচুড়া পুরসভাতেই ব্যান্ডেল বালিমোড়ে নিবেদিতা পার্কে বছর চারেক আগে ৩০ লক্ষ টাকায় একটি দোতলা বাড়ি কেনেন শান্তনু। চুঁচুড়ার প্রাণকেন্দ্র জগুদাসপাড়ায় দুটো ফ্ল্যাটকে এক করে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বানান তিনি। যার আয়তন ১৭০০ বর্গফুটের মতো, বাজার মূল্য প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা।

Manoranjan Bapari on Shantanu Banerjee: ‘নির্বাচনের সময় শান্তনু কোনও সাহায্য করেনি’, অভিযোগ বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর
ফ্ল্যাটটি অবশ্য এক আত্মীয়ের নামে কেনা হয়েছিল। জেলা তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, যুব তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার পরই শান্তনুর বাড়বাড়ন্ত। ২০১৮-য় তারকেশ্বর থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের ভোটে জিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ হন। তবে তাঁর রেস্তরাঁর এর প্রাক্তন এক কর্মচারী বলেন, ‘এত সম্পত্তির মালিক হলেও কর্মচারীদের বেতন ঠিকমতো দিতেন না শান্তনু। তবে প্রিয়াঙ্কা সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *