Paschim Bardhaman News : দুজনেরই উড়ু মন। দুজনেরই সারল্য মুগ্ধতার গল্প শোনায়। কী অদ্ভুত মিতালি তাদের ! অঙ্কিতা আর মিঠু। অঙ্কিতা সবেমাত্র স্কুলের চৌকাঠে পা দিয়েছে। স্কুলেই ভাব পাতিয়েছে সহপাঠী এক শালিক পাখির সঙ্গে। সহপাঠীই বটে ! সকালের প্রার্থনা থেকে শুরু করে ক্লাস, টিফিনের সময় সর্বক্ষণ একে অপরের ছায়াসঙ্গী। তাদের বন্ধুত্বের সাক্ষী স্কুলের বাকি পড়ুয়ারাও।

DA Protest Latest News : বাইরে ধর্মঘটে সামিল ৩৩ শিক্ষক, ১০ পড়ুয়াকে নিয়েই ২ শিক্ষকের ক্লাস চলল খড়গপুরের স্কুলে
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা অঙ্কিতা বাগদি। শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হয়েছে সে। এর মধ্যে তার সঙ্গে নিবিড় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে একটি শালিক পাখির। ভালোবেসে সে তার সখির নাম রেখেছে ‘ মিঠু’। অঙ্কিতার ভালবাসার টানে রোজ সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসে শালিক মিঠু। শ্রেণিকক্ষেও অঙ্কিতার পাশে বসে থাকতে দেখা যায় মিঠুকে।

DA Protest Latest News : DA-র দাবিতে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জের, জেলায় জেলায় স্কুলে ঢুকতে বাধা শিক্ষকদের
ভালোবাসার অনন্য নজির কাঁকসার শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অঙ্কিতা আর পাঁচটা বন্ধুর সঙ্গে প্রতিদিন স্কুলে পৌঁছে যায়। অঙ্কিতা স্কুলে পৌঁছনোর কিছুটা সময়ের মধ্যেই গাছ থেকে অঙ্কিতার মাথায় বসে যায় মিঠু। তারপর অঙ্কিতার সঙ্গেই টিফিন পর্যন্ত থাকে শালিক পাখিটি। শিক্ষকরা যখন পাঠ দান করেন তখনও মিঠুকে বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায়।

HS Exam Viral Video: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই ভাইরাল পরীক্ষার্থীদের অশালীন নাচের ভিডিয়ো
স্কুলের শিক্ষকরাও মিঠুকে কখনও বিস্কুট কখনো মুড়ি খেতে দেয়। টিফিনের সময় অঙ্কিতার সাথে খেলতে দেখা যায় পাখিটিকে। তারপরেই পাখিটি আবার তার নিজের গন্তব্যে ফিরে যায়। অঙ্কিতার কথায়, “ও আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। ও আমাকে খুব ভালোবাসে। আমি ওর নাম দিয়েছি মিঠু। ওর সঙ্গে দেখা না হলে মন খারাপ হয়ে যায়।” বন্ধুত্বের এত টান, অঙ্কিতা স্কুলে আসতে না পারলে তার বাড়িতে পৌঁছে যায় মিঠু। কেননা মিঠুকে না পেলে অঙ্কিতাও যেন মনমরা হয়ে পড়ে। দিকে দিকে নির্মম ঘটনার মাঝে এক নজিরবিহীন ভালোবাসার সাক্ষী কাঁকসার শিবপুরবাসী।

Alipurduar News : চিন্তা নেই, বন্ধ হবে না স্কুল! বক্সা পাহাড় পেরিয়ে গ্রামবাসীদের আশ্বাস তৃণমূল নেতৃত্বের
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রামদাস সোরেন জানান, পাখিটা রোজ আমাদের এখানে আসে। আমাদের ছেলেমেয়েরাও ওকে খুব ভালোবাসে। এখানে থাকে। ওকে খেতে দেওয়া হয়। আবার যখন ছেলেমেয়েগুলো বাড়ি চলে যায়, পাখিটিও চলে যায়। ওদের সঙ্গে অদ্ভুত বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে পাখিটার।
স্কুলের শিক্ষক থেকে অশিক্ষক কর্মীরা সকলেই জানাচ্ছেন মিঠুকে পেয়ে তারাও যেন সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যান। এত কচিকাচাদের মাঝে থেকে সেও দারুণ সময় কাটায়, ক্যামেরার সামনে ঘাড় নাড়িয়ে সেরকমটাই জানাল মিঠুও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *