জেলার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও বেশি সংখ্যায় পর্যটক টানার লক্ষ্যে মুকুটমণিপুরকে আরও ঢেলে সাজাতে উন্নয়ন পর্ষদ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার পরেশনাথ মন্দিরের ঠিক পাশে সাংস্কৃতির মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের কাজও করা হবে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বনপুকুরিয়া হরিণ উদ্যানের খেয়া ঘাট যাতায়াতের রাস্তার সংস্কার, দুই ঘাটে টিকিট কাউন্টার তৈরি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হবে। সোমবার সেই উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের কাজ খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক তথা খাতড়ার মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হওয়া যাবতীয় কাজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। নৌকা করে নদীপথও পরিদর্শন করেন মহকুমা শাসক।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে যে সকল রাস্তাগুলি হয়েছে এবং যে গুলি হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বা টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে, তার গতি যাতে বাড়ানো যায় এবং সময়ে যাতে কাজ শেষ হয়, সেই কারণে আমরা এসেছিলাম এবং পরিদর্শন করলাম। অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরাও ছিলেন। নতুন বিভিন্ন পরিকল্পনা আমার বোর্ডে পেশ করব। তবে আপাতত আমরা চাইছি, যে কাজ গুলি শুরু হয়েছে, তা যেন সঠিক সময়ে শেষ হয়।”
সম্প্রতি দোল উপলক্ষে মুকুটমণিপুরে পলাশ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে অসংখ্য পর্যটক সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মুকুটমণিপুরের পলাশ উৎসবে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অংশগ্রহণকারী মহিলাদের বেশিরভাগই হলুদ শাড়িতে ছিলেন। খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে দোল উপলক্ষে এই বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। পর্যটকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণে মহকুমা প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
বসন্তের আগমনে এই পলাশ উৎসবে নাচ, গানের পাশাপাশি হয়েছে চুটিয়ে রং খেলা। আট থেকে আশি সকলেই রঙের উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে মুকুটমণিপুরকে তুলে ধরাই এখন প্রশাসনের লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে।