সিদ্ধান্ত হয়েছে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে যেখানে রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন রয়েছে, সেই সমীকরণ মাথায় রেখেই তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী জোটে বিভিন্ন শক্তিতে সামিল করে ভোটে লড়াইয়ের কৌশল গ্রহণ করতে হবে। মোদ্দা কথা, কংগ্রেস অথবা আইএসএফ-এর সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম জোট করেই ভোটে লড়াই করতে চলেছে। কোথায় কোন শক্তির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করা হবে, তা সংশ্লিষ্ট এলাকার সিপিএম নেতৃত্ব ঠিক করবেন।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে একত্র করার ভাবনা মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করা হবে। সেই মোতাবেক প্রার্থী বাছাই করতে হবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও ভরসাযোগ্য ব্যক্তিকে প্রার্থী করতে হবে।’ সিপিএম নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, অধিকাংশ জেলাতেই খসড়া প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যেহেতু ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে স্থানীয় অনেক রাজনৈতিক-সামাজিক সমীকরণ থাকে, তাই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষিত না হলে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা মুশকিল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কী ভাবে সমঝোতা হবে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ইতিমধ্যে তা নিচুতলার হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জেলার নেতা-কর্মীদের নির্দেশিকা পাঠিয়ে বিরোধীপক্ষের প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে সেই তালিকা ধরেই পঞ্চায়েত ভিত্তিক রণকৌশল তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।