আদালতের বক্তব্য, বেহালা থেকে বকখালি, এই বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখলদার মুক্ত করতে অপ্রয়োজনীয় দেরি করেছে পূর্ত দফতর। বিষয়টি যে কোর্ট নজর করছে তা স্পষ্ট করে দেয়।
এদিন আদালত বল, শীঘ্র এই নির্দেশ পালন করুন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জেলাশাসককে গোটা ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন । কেন নির্দেশ কার্যকর অযথা বিলম্ব। কার কার হাত রয়েছে এই কাজে দেরির পিছনে তার অনুসন্ধান করে জেলাশাসককে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়।বর্তমান এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ২৯ মার্চের মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করে ৩১ মার্চ আদালতে এসে জানাবেন বলে নির্দেশ আদালতের।
এদিন শুনানিতে তীব্র ভর্ৎসনা করে আদালত। বিচারপতি বলেন,”পাবলিক ল্যান্ড দখল করে বসে রয়েছে দখলদাররা। আপনাদের জন্য দখলদাররা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছেকৃতভাবে আপনারা দখলদারদের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। আপনারা বুঝিয়ে দিয়েছেন আপনারাই বিষ্ণুর অবতার। তাই দুষ্কৃতীরা আপনাদের পিছন পিছন ঘোরে। মানুষ হতাশ, বিধস্ত, এত অপরাধ, দুর্নীতি দেখতে দেখতে। আপনাদের হাতে সরকারি জমি রক্ষার দায়িত্ব। অথচ খুব ব্রিলিয়ান্ট ভাবে আপনারা দখলদারদের সুযোগ দিতে অঙ্ক কষে নির্দেশ কার্যকর করতে দেরি করছেন। এটাকেও দুর্নীতিকে মদত দেওয়া বলে।”