Home Ministry : বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা! শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের – central home ministry ask report to government of west bengal on fake case against opposition parties


West bengal News: ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে অমিত শাহের দফতর। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অকারণ মামলা করার অভিযোগে রিপোর্টে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

Firhad Suvendu : আলিপুরের জমি নিয়ে বাগযুদ্ধ ফিরহাদ-শুভেন্দুর
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই চিঠিতে রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে ও সাজানো মামলা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্টে পেশের কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

TMC Latest News : কেন্দ্র টাকা আটকানোয় বিধানসভায় সরব তৃণমূল
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা সকাল থেকে রাত অবধি দল বিরোধী কাজ করতে ব্যস্ত থাকেন। কখনও তিনি বলেন বাংলার পাওনা টাকা যাতে না দেওয়া হয়, কখনও তিনি বলেন রাজ্যে যাতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়। তিনি কেন্দ্রকে মিথ্যে কথা বলেছেন এবং তাঁর কথার পরিপেক্ষিতে কেন্দ্রের শাসকদল বিভিন্ন কাজ করে। বাংলায় নিরেপক্ষ প্রশাসন রয়েছে। সব রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে কাজ করে। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কাকে বলে তা দেশের সংসদে বিজেপি সকলকে দেখায়।”

Chandrima Bhattacharya On CBI : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব
অতীতেও কেন্দ্রকে লেখা শুভেন্দুর একাধিক চিঠি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, তাঁর চিঠির কারণেই কেন্দ্রীয় দল রাজ্য মিড-ডে মিল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসেছেন। রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিজেপি নেতাদের এই হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছিল যে তাঁরা কেন্দ্রের কাছে রাজ্যে অনুদান বন্ধ করা আবেদন করবে। কয়েকমাসের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রকের চিঠি ঘিরে রাজনৈতিক পারদ আরও চড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্যে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি নিয়ে চাপে রয়েছে শাসকদল। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে তৃণমূলের পরাজয় নিয়ে ইতিমধ্যেই কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিরোধী দলের দুই নেতার গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। গ্রেফতাররির ৪২ দিন পর জামিন পান নওশাদ। অন্যদিকে গ্রেফতারির দিনই জামিন পেয়েছিলেন কৌস্তভ। রাজ্যের থেকে কেন্দ্রেরর এই রিপোর্ট তলবে বিরোধীরা আরও অক্সিজেন পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *