জানা যায়, শালবনী থেকে একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক ঘাটাল মেদিনীপুর রাজ্য সড়ক হয়ে পাঁশকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। আর সেই সময় দাসপুর থানার কসবা এলাকায় ঘটে এমন দুর্ঘটনা। ঘটনায় গাড়ির চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “আমার বাড়ির পাশেই হয়েছে এই দুর্ঘটনা। রাতে ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরিয়ে দেখি একটা বড় গাড়ি উলটে গিয়েছে। আর ভিতর থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। ততক্ষণে আরও বেশ কিছু মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েন। সবাই মিলে গিয়ে ওই গাড়ির চালককে উদ্ধার করি। কপাল ভালো যে ওই চালকের বেশি আঘাত লাগেনি। তাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার পড়েনি।”
ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর ফলেই যে চালক নিয়ন্ত্রন হারান, একথাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, রাজ্য সড়ক চওড়া না হওয়ার ফলে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা লেগে থাকে এই দাসপুর এলাকায়।
সপ্তাহ তিনেক আগেই একটি যাত্রীবোঝাই বাস এই এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দাসপুরের চাঁদপুর এলাকায় একটি লরিকে ধাক্কা মারে বাসটি। সেই সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উলটে যায় রাজ্য সড়কের ধারে। বরাত জোরে রক্ষা পান বাসে থাকা জনা ষাটেক যাত্রী।
কম বেশি চোট পান প্রায় কুড়ি জন। প্রশাসনের তরফে রাস্তায় কোনও স্পীড ব্রেকার বসানো হয় না বলে অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় মহল থেকে। এই এলাকায় দুর্ঘটনা কমাতে যে যানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন ও স্পীড ব্রেকার বসানো দরকার, এই দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ।
