মৃত তরুণীর পরিবারের দাবি, বাপ্পার সঙ্গে তাঁর বৌদিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে দেখে ফেলেছিল সুদীপা। যে ভালোবাসার টানে উচ্চ মাধ্যমিক না দিয়ে, পরিবার ছেড়ে একদিন পালিয়ে গিয়েছিল, এমন পরিণতি দেখে মানসিক আঘাত থেকেই আত্মঘাতী হয় সে, পরিবারের এমনটাই অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর রাওতারা এলাকার বাসিন্দা গৌতম মণ্ডলের তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সুদীপা। পরিবারের অভিযোগ, সুদীপ পড়াশোনা করুক, তা কখনওই চায়নি বাপ্পা। তাঁর জেদের কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি সুদীপার, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ মার্চ পালিয়ে বিয়ে করার পর ১৩ মার্চ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসে ওই তরুণী। বাবার বাড়িতে চলে এলেও ফোনে স্বামীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, ১৬ মার্চ সকালে স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলার সময় তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়। সুযোগ বুঝে বাথরুমে গিয়ে নাইট্রিক অ্যাডিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুদীপা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকেরা তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু, সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে দুপুরে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। পরিবারের তরফে বাপ্পার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলার রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।