কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে অধীর চৌধুরী বলেন,” মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে দু’বার ভার্চুয়াল মিটিং করতে হচ্ছে এটাই আমাদের জয়। মুখ্যমন্ত্রীর আর কোনও ধ্যান জ্ঞান নেই। তাঁর একটাই লক্ষ্য, সাগরদিঘি, সাগরদিঘি, সাগরদিঘি।”
রসিকতার সুরে অধীরবাবু বলেন,”দিদি আপনি সাগরদিঘিতে আসুন। এখানে খুব ভালো মাছ পাওয়া যায়। পদ্ম পাতাও পাওয়া যায়। এখানে বসে ছবি আঁকুন, কবিতা লিখুন, মাছ ভাজা খান, বাড়ি চলে যান। মুর্শিদাবাদ থেকে আপনাকে উচ্ছেদ করার কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। আপনাকে বাংলা থেকে উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত এ অভিযান থামবে না।”
এখানেই শেষ নয়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর বলেন, ”এই বাংলাকে সোনার বাংলা বলা হয়। মা-মাটি-মানুষের বাংলা যাকে বলা হয় জয় বাংলা বলে যারা স্লোগান দেন সেই রাজ্যে বাংলা ভাষার পড়ানোটা যেন অপরাধ হয়ে গিয়েছে।”
অধীর চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন, ”যতই দিদি প্রোমোটার রাজ এবং কাঠ মানি ব্যাপারে কথা বলুক না কেন কোনওদিন এই দুর্নীতি দিদি থামাতে পারবে না। প্রোমোটারদের কাছে কোনও জমি নাই, সব জমি কেনা বেচা হয়ে গিয়েছে। এখন মানুষের সম্পত্তি মানে আমার-আপনার যে জমি জায়গা আছে। রাতের অন্ধকারে বি এল আর ও ডি এল আর ও তৃণমূল পুলিশ মিলে সেগুলো নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। দলিলের নাম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের সম্মেলনে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর । মেদিনীপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাসক শিবিরকে একাধিক ইস্যুতে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট নেতা।
Speaker Biman Banerjee : বাইরন ‘তৃণমূলের লোক’,স্পিকারকে পাল্টা সেলিমের!
বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের যে ব্যবহার তা নিন্দা যোগ্য। প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি, প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে পুলিশ যে ব্যবহার করেছে তা কখনও উচিত নয়। জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এমনই দাবি প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর।