রবিবার সকালে দুর্গাপুর কুরুড়িয়াডাঙ্গা এলাকার মিলনপল্লির একটি বাড়ি থেকে দুই জন শিশুসহ এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মৃতদের নাম অমিত মণ্ডল (৪২), পেশায় জমি ব্যবসায়ী। তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৪), তাদের পুত্র নিমিত মণ্ডল ( ৭) ও শিশুকন্যা নিকিতা মণ্ডল (১)।
মৃতার রূপা মণ্ডলের বাবা বিশ্বম্ভর পাল দুর্গাপুর থানার পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমিত মণ্ডলের মা বুলু মণ্ডল। অমিত মণ্ডলের মামাতো ভাই গৌতম নায়েক ও মামাতো ভাই এর স্ত্রী শিলা নায়েককে গ্রেপ্তার করে রবিবার। ধৃতদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, ষড়যন্ত্র করে খুন ও সম্পত্তি হাতানো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । লাগু হয়েছে এই 498a, 302,406, 120b, dp act ।
প্রসঙ্গত, মৃত্যুর আগে ফ্যামিলি হোয়াটস গ্রুপে একটি নোট লেখেন অমিত মণ্ডল বলে দাবি। যেখানে মানসিক নির্যাতন, সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা সহ একাধিক কথা লেখা ছিল। তাতে নির্দিষ্ট ভাবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও মৃতের মাসতুতে বোন সুদীপ্তা ঘোষের দাবি, ফ্যামিলি গ্রুপে নোট লেখার আগেও তাঁকেও একটি মেসেজ করেছিলেন অমিত মণ্ডল। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন পরিবারের মধ্যে কয়েক জন ২০১২ সালে টেট পাশ না করেও টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন।
এরপরই সপরিবারের অমিত মণ্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির যোগ সামনে আসতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবী শামিম আহমেদ।
অন্যদিকে, মৃতার বাবা বিশ্বম্ভর পাল এই ঘটনায় কুড়ি জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনজন গ্রেফতার হলেও বাকি ১৭ জন এখনও অধরা রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিওয়ার আর্জি জানিয়েছে বিচারকের কাছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত চালাবে পুলিশ।