Rabindra Bharati : রবীন্দ্রভারতীতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ক্যাম্পাসে বিশ্ববাংলার লোগো কেন? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির – calcutta high court chief justice asks why biswa bangla logo and tmc party office is there in rabindra bharati university


রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যলয়ে (Rabindra Bharati University) কেন বিশ্ববাংলা লোগো (Biswa Bangla Logo)? সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি এই প্রশ্ন তোলেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয় এবং জোড়াসাঁকোর ক্যাম্পাসে ঘর দখল করে রাজ্যের শাসক দলের পার্টি অফিস খোলার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর জোড়াসাঁকোর ক্যাম্পাসের পার্টি অফিসটি বন্ধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করা হয়। এই নিয়ে এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববাংলার লোগো কেন? লোগো সরাতে রাজ্যের ভূমিকা কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ঘরই বা কেন চলছে?”

Calcutta High Court : ‘রাজ্যের কোনও এক্তিয়ার নেই’, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বেআইনি! বড় রায় হাইকোর্টের

কী নির্দেশ হাইকোর্টের?

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং বিশ্ববাংলার লোগো ব্যবহার করা নিয়ে কড়া নির্দেশ দেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এবং বিশেষ কমিটি এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। পুরসভার তরফে জানাতে হবে কোথায় কী পরিবর্তন হয়েছে। আগামী ২৭ মার্চ থেকে এই তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Rabindra Bharati University : হেরিটেজ ধ্বংস? বিতর্ক পুর রিপোর্টে
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে, হেরিটেজ সংরক্ষণ কমিটি ফের নতুন করে জোড়াসাঁকো ও বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে দেখবে। আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার সদস্যদের নিয়ে এই পরিদর্শন করতে হবে আগামী ২৭ মার্চ। আলাদা আলাদা ভাবে রিপোর্ট দিতে হবে দু’টি ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রেই। আরকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার ডিরেক্টরকেও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সমল্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১০ এপ্রিল।

Plastic Carry Bags : চার বছর লড়ে ক্যারিব্যাগের ৪ টাকা আদায় ক্রেতার
যদিও বিটি রোডে মরকতকুঞ্জের প্রাচীন ভবনটির একাংশ দখল করে শাসকদলের কর্মী সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন অফিস বানানো ও বিশ্ববাংলা লোগো লাগানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মত, যেখানে এই ইউনিয়ন অফিস তৈরি হয়েছে তা হেরিটেজের অংশই নয়।

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি এবং বিটি রোড ক্যাম্পাসের হেরিটেজ কি ধ্বংস হওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নামে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। পুরসভার হেরিটেজ রক্ষা কমিটির রিপোর্টে মেনে নেওয়া হয়েছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির একাংশ একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সংগঠন দখল করে ভবনের চরিত্র বদল করেছে ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *