জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বারবার চিঠি লিখে, খোদ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও কোনও কাজ হয়নি। এরই প্রতিবাদে এবার আম্বদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ওড়িশা যাওয়ার আগে এমনটাই জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-স্কুল আছে; নেই একজনও পড়ুয়া, শিক্ষকরা এসে কী করেন জানেন?
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একশো দিনের কাজ, আবাস প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র সরকার। এবছরের বাজেটে একশো দিনের কাজে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। বাংলাকে বঞ্চনা করার, বাংলাকে লাঞ্ছনা করার কেন্দ্রীয় সরকারের যে একপেশে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভব তার বিরুদ্ধে ২৯ মার্চ দুপুর বারোটা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ধর্নায় বসব। আম্বদকর মূর্তির সামনেই বসব। ধর্না শেষ করব ৩০ মার্চ সন্ধেয়। এরপর ব্লকে ব্লকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেব।
রাজ্যে একদিকে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, ডিএর দাবিতে ধর্নায় বসেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এরমধ্যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসার ঘোষণা করায় আগামী সপ্তাহে সরগরম হয়ে উঠবে রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি ওই ধর্না কর্মসূচির পর আন্দোলনকে ব্লকস্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।
রাজ্যে একদিকে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে, ডিএর দাবিতে ধর্নায় বসেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এরমধ্যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসার ঘোষণা করায় আগামী সপ্তাহে সরগরম হয়ে উঠবে রাজ্য রাজনীতি। পাশাপাশি ওই ধর্না কর্মসূচির পর আন্দোলনকে ব্লকস্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ওড়িশায় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতকার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল তিনি পুজো দেবেন। পরের দিন দেখা করবেন নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে। এসব কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই মমতা আজ বলেন, এবার বাজেটে বাংলাকে একশো দিনের কাজে একটা পয়সা দেয়নি। একমাত্র বাংলাকেই কিছু দেওয়া হয়নি। আবাসনেও এক পয়সা দেয়নি। ৫৫ লাখ বাড়ির টাকা পড়ে রয়েছে। ১১ লাখ বাড়ি আমরা করে দিচ্ছি। গ্রামের খারাপ রাস্তা আমরা নিজের টাকায় করছি। কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা রাজ্যের। এনিয়ে ৬ মাস আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। অমিত শাহকেও বলেছি। চিঠি লেখা হয়েছে। তার পরেও দেখছি বিজেপির কথা কিছু টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে। এখন যেন মনে হচ্ছে সিবিআই ডিরেক্টর বিজেপি লোকাল কমিটির প্রেসিডেন্ট। আর ইডিরও প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছে ওরা। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাতার্য বলেন, রাজ্যে তো সবাই ধর্নায় বসে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ নিয়েও ধর্না চলছে। যাদের মেধা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে তারা ধর্নায় বসেছেন। ডিএর দাবিতে ধর্না চলছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসছেন।
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ওঁর ইচ্ছে হয়েছে তাই ধর্নায় বসছেন। কিন্তু আম্বদকর মূর্তির নীচে কেন ওঁর উচিত প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে বসা। রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে কোনওদিন উনি সরব ছিলেন না। বরং রাজ্যকে যাতে টাকা দেওয়া না হয় তার জন্য দরবার করেছেন।
