Uttar 24 Pargana : মারণ রোগের শিকার ২ বছরের খুদে! ছোট্ট মেয়েকে বাঁচাতে দিশেহারা পরিবার – uttar 24 pargana minor suffering from brain tumor


West Bengal News: বয়স মাত্র দু বছর চার মাস। এই বয়সেই ধরা পড়েছে মারণ রোগ। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগণার জেলার এক ছোট্ট শিশুকন্যা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাপাই বর্ধন। তাঁর মেয়ে ঋষিকা দু’বছরের জন্মদিনের ঠিক পড়ে দিন নেমে আসে অন্ধকার। পাপাই জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বর্ধন পরিবারের। পরিবারের সবথেকে ছোটো সদস্যকে কী ভাবে সুস্থ করে তুলবে, তা ভেবে কুল কিনারাহীন বর্ধন পরিবার।Nadia News : মায়ের ক্যান্সার ছেলেরাও জটিল রোগে ধুঁকছেন, দুঃস্থ পরিবারের পাশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি
মেয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে সবজির ব্যবসা লাটে উঠেছে পাপাইয়ের। বর্তমানে পাপাই কর্মহীন। কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে দু-দুবার অস্ত্রোপচার হয় ছোট্ট ঋষিকার। কিন্তু সেই চিকিৎসাতে সুস্থ হয়নি সে। পরিবার পরিজন ও বন্ধুরা মেয়ে মুম্বইয়ের টাটা ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে নিয়ে যেতে বলে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসার খরচ তো অনেকে, সেই টাকা কোথা থেকে আসবে ভেবে মাথায় হাত পরিবারের।

Nabanna : বছরে খরচ ৬০ লাখ, বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর পাশে নবান্ন
ঋষিকার চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। সেই টাকা জোগাড় করতে শিশুটির পরিবার অপারগ। সেই কারণে ওই শিশুর পরিবারের তরফে সকলের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা শিশুটির চিকিৎসার জন্য তাদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও এখও প্রচুর টাকার প্রয়োজন বর্ধন পরিবারের। তাঁদের এই দুর্দিনে অশোকনগরের আস্থা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেওয়া হয়েছে বর্ধন পরিবারের হাতে। তবে এখনো প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। কিভাবে জোগাড় হবে এত টাকা! সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের। সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে অসহায় পরিবার। পরিবারের তরফে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। 8759997151 মোবাইল নম্বরে ফোন করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন যে কেউ।

Harry Potter Paul Grant : কেঁদেই আকুল, নিতে হতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ? ‘গবলিন’-এর মৃত্যুতে বিধ্বস্ত মেয়ে
পাপাই বলেন, “জন্মদিনের পর থেকে সমস্যার শুরু। কিছু খেলেই বমি করছিল, ঘুমোতে পারছিল না। হাবড়া হাসপাতলে ভর্তি করি। সেখান থেকে শিশু হাসপাতাল, আবার সেখান থেকে নীলরতন সরকারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’বার অপারেশন হয়েছে। এখন আমরা মুম্বইতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। প্রচুর টাকার প্রয়োজন রয়েছে। কেউ যদি আর্থিক সাহায্য করতে চায় খুবই কৃতজ্ঞ থাকব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *