Malda Anganwadi Centre : অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে দেওয়া পচা ডিম খেয়ে অসুস্থ ২ শিশু! তালাবন্দি সুপারভাইজার – malda 2 children sick after eating rotten eggs given by anganwadi center


West Bengal News : পচা ডিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে গেল দুই শিশু। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার ভিজিট করতে এসে তালা বন্দী হলেন সুপারভাইজার। যদিও পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর-৩ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী বিনতি দাসের বিরুদ্ধে শিশুদের পচা ডিম ও অনিয়মিত খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাঁধুনীকে সেন্টারে তালাবন্দী করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় অভিভাবকেরা।

Midday Meal Scheme : ডিম সেদ্ধর জল খিচুড়িতে দেওয়ার অভিযোগ! বিক্ষোভ গোঘাটের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে
সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসেন সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ও CDPO আব্দুল সাত্তার। বুধবার সকালে সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ওই সেন্টারটি ভিজিট করতে আসলে অভিভাবকেরা অভিযোগ জানাতে তার কাছে ছুটে যান। অভিযোগ, সুপারভাইজার অভিভাবকদের অভিযোগ না নিয়ে নিজের মতন করে সেন্টার ভিজিট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

ICDS Centre : ICDS সেন্টারে ‘বরাদ্দ’ অর্ধেক ডিম! কুলতলিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকেরা সুপার ভাইজার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাধুনীকে এক ঘরে আটকে রেখে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভিলেজ পুলিশ অনির্বাণ ঝা ও CDPO আব্দুল সাত্তার। ভিলেজ পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পান সুপারভাইজার।

Uttar 24 Pargana : তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ-হাতাহাতি! উত্তেজনা আমডাঙায়
এরপর CDPO আব্দুল সাত্তার অভিভাবকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাসকে এই সেন্টার থেকে ট্রান্সফার করিয়ে দেন। শেখ হারুন রশিদ নামে এক অভিভাবক জানান, “সোমবার সেন্টার থেকে দেওয়া পচা ডিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে আমার নাতনি।

Sishu Sathi Scheme : ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন, পুর প্রতিনিধির সহযোগিতায় হার্টের জটিল অস্ত্রোপচার প্রাণ বাঁচল খুদের
রাত থেকেই শুরু হয়েছে শিশুটির পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্ট। রাতবিরেতে বাচ্চাটিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়েছে। ভালো খাবার না থাকলে খাবার দেওয়ার দরকার নেই। পচা জিনিস ওরা কেন খাওয়াবে বাচ্চাদের”? বাচ্চাটির কিছু হলে তার দায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকেই নিতে হবে বলে তিনি দাবি তোলেন।

সুপারভাইজার রুমি মন্ডল জানান, “অভিভাবকদের অভিযোগ শোনার জন্যই আমি সেন্টারে এসেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় অভিভাবকেরা আমাকে অভিযোগ শোনার কোনও সুযোগই দেননি। উপরন্তু তারাই আমাকে তালা মেরে আটকে রাখে”। CDPO আব্দুল সাত্তার জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে এই সেন্টার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে শিশুরা নিয়মিত খাবার পাবে”।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *