সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসেন সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ও CDPO আব্দুল সাত্তার। বুধবার সকালে সুপারভাইজার রুমি মন্ডল ওই সেন্টারটি ভিজিট করতে আসলে অভিভাবকেরা অভিযোগ জানাতে তার কাছে ছুটে যান। অভিযোগ, সুপারভাইজার অভিভাবকদের অভিযোগ না নিয়ে নিজের মতন করে সেন্টার ভিজিট করে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকেরা সুপার ভাইজার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও রাধুনীকে এক ঘরে আটকে রেখে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভিলেজ পুলিশ অনির্বাণ ঝা ও CDPO আব্দুল সাত্তার। ভিলেজ পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পান সুপারভাইজার।
এরপর CDPO আব্দুল সাত্তার অভিভাবকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি দাসকে এই সেন্টার থেকে ট্রান্সফার করিয়ে দেন। শেখ হারুন রশিদ নামে এক অভিভাবক জানান, “সোমবার সেন্টার থেকে দেওয়া পচা ডিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে আমার নাতনি।
রাত থেকেই শুরু হয়েছে শিশুটির পাতলা পায়খানা ও শ্বাসকষ্ট। রাতবিরেতে বাচ্চাটিকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হয়েছে। ভালো খাবার না থাকলে খাবার দেওয়ার দরকার নেই। পচা জিনিস ওরা কেন খাওয়াবে বাচ্চাদের”? বাচ্চাটির কিছু হলে তার দায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকেই নিতে হবে বলে তিনি দাবি তোলেন।
সুপারভাইজার রুমি মন্ডল জানান, “অভিভাবকদের অভিযোগ শোনার জন্যই আমি সেন্টারে এসেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় অভিভাবকেরা আমাকে অভিযোগ শোনার কোনও সুযোগই দেননি। উপরন্তু তারাই আমাকে তালা মেরে আটকে রাখে”। CDPO আব্দুল সাত্তার জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে এই সেন্টার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে শিশুরা নিয়মিত খাবার পাবে”।