বাচ্চাদের সেন্টারে পাঠালেও তাদের ভালো মানের খাবার দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা পঞ্চালী সর্দার বলেন, “রান্নায় কাঁচা তেলের গন্ধে কেউ খেতে পারে না। কেন্দ্রের কর্মী প্রায়ই দেরি করে আসেন। সকালে বাচ্চারা টিফিনের কৌটো নিয়ে কেন্দ্রে যায়। কর্মী না থাকলে ছেলেরা খেলতে চলে যায়। পরে তারা কেন্দ্রে গেলে খাবার দেওয়া হয় না।
এছাড়া, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ছেলেমেয়েদের নজরে রাখেন না। কেউ অসুস্থ হলে খোঁজখবর নেন না”। আরেক বাসিন্দা বৃহস্পতি সর্দার বলেন, “যখন তখন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ছুটি দেওয়া হয়। কোনও ঠিক নেই। বাচ্চারা অনেকদিনই খাবার পায় না”। আরেক বাসিন্দা শিবানী সর্দার ছুটি ও খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “এই সেন্টার থেকে নিয়মিত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। সেন্টারের কর্মীকে বলতে গেলে তিনি কোনও ভ্রূক্ষেপ দেখান না। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত যিনি আছেন, তাঁকে আমরা কেউই মাঝে মধ্যেই দেখতে পাইনা”। তাঁদের দাবি, আগেও কেন্দ্রের কর্মীকে নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। তখন মিটমাট হয়ে যায়।
তাদের সবার অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্মিলা মন্ডল নিয়মিত আসেন না। কখনও তিনি এলেও আসেন না এই কেন্দ্রের স্বহায়ক মীনাক্ষি সর্দার। এই বিষয়ে মীনাক্ষী দেবী জানান, “দিদিমণি অসুস্থ তাই আমি এই কদিন আসিনি। আমাকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হয় আমি তেমন ভাবেই চলি। এই বিষয়ে আমার কোনও হাত নেই”।
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্মিলা মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজী হননি। যদিও কুলতলির BDO বীরেন্দ্র অধিকারী বলেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কেউ অভিযোগ করেননি। ওঁদের বক্তব্য খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।