গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বাড়ির মালিক রিঙ্কু চক্রবর্ত্তী উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা এসে বাড়ির ওই ঘরটিকে তালা বন্ধ করে দিয়ে গিয়েছে। ঘটনার পিছনে কোন রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রিঙ্কুদেবী বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না। খবর পেলাম আমার অনুপস্থিতিতে লোক ডাকিয়ে এনে কাজ হচ্ছে। বাড়ি ফিরে আমি দেখার চেষ্টা করলেও আমাকে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। আজ বিকেলে জোর করে ঘরে ঢুকে দেখলাম যে এক মানুষ সমান গর্ত খুঁড়ে রেখেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে গর্ত খুঁড়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমি ওনাকে এখান থেকে তুলে দিতে চাই। কারণ আমি আমার ছোটো মেয়েকে নিয়ে এখানে থাকি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
অভিযুক্ত ভাড়াটে ছেলে তৃনমূল যুব নেতা। তিনি ভিন রাজ্যে বেড়াতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “আমি গর্ত খুঁড়িনি, লোক দিয়ে করনো হয়েছে। আমরা কোমর ভাঙা, ডাক্তার বলেছিল গর্ত করে ওর ভিতরে দাঁড়াতে। আমি বাড়ির মালিককে জানিয়েছিলাম। পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছিল। আমার ছেলে কী করে আমি জানি না। আমার দোকান আছে, দোকানদারি করি। ছেলে বাইরে বেড়াতে গিয়েছেন। কী করে আমি জানি না। আমাকে সে কিছুই জানায় না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয় কোনও রহস্য রয়েছে। নইলে ঘরের মধ্যে কেউ এমন গর্ত খোঁড়ে না।