নিজেদের জন্য একটি ফার্মার্স ক্লাব পেয়ে খুশি এলাকার চাষিরা। স্থানীয় চাষিরা জানান, এরকম একটি সমিতির খুবই প্রয়োজনীয়তা ছিল। বিকল্প চাষ সম্বন্ধে আলোচনা, কৃষি ব্যবস্থা উন্নয়নে একাধিক উদ্যোগ, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষণ সহ একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে এই কৃষক সংঘ থেকে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আগামী দিনে জেলায় কৃষক স্বার্থে আরও এরকম উদ্যোগ নেওয়া হোক বলেই জানান স্থানীয় চাষিরা। মুসলিম সম্প্রদায়ের চলছে পবিত্র রমজান মাস। এই রমজান মাসে সকলেই একত্রে রোজা রাখেন। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর উদ্যোগে শুক্রবার মহাল গ্রামে আয়োজিত হয় এই ইফতার পার্টির।
সেই অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিতে আসেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সাংসদকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে, মহাল, পাণ্ডবেশ্বর, দান্য বিভিন্ন কৃষি প্রধান এলাকায় সাধারণ কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে ফসল ফলান। তাই বিধায়কের উদ্যোগে তাঁদের সুবিধার্থে গড়ে দেওয়া হল একটি ফার্মার্স ক্লাব।
ক্লাবটির শুভ উদ্বোধন করলেন সাংসদ। এই ক্লাবের উন্নয়ন প্রকল্পে সাংসদ ২৫ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা করেন। সাংসদ ছাড়াও এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি কিরিটি মুখার্জি, পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বাউরী ও সহ-সভাপতি রমা রুইদাস সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিন ইফতার পার্টিতে এসে সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, এই শিল্পাঞ্চলে সব সম্প্রদায়ের মানুষ ভাইয়ের মতো বসবাস করেন তাই এই শিল্পাঞ্চলকে বলা হয় সিটি অফ ব্রাদারহুড। আগামীকাল ছিল রামনবমী, এই রামনবমীতে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় হিন্দু ভাইয়েরা এবং মুসলিম ভাইয়েরা একত্রে উদযাপন করছেন। এবং সেইমতো বিভিন্ন ইফতার পার্টিতে হিন্দু ভাইয়েরা যোগদান করছেন।
তাই এই পাণ্ডবেশ্বর সহ আসানসোল শিল্পাঞ্চল এক ভাতৃত্বের বন্ধন, কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তির এখানে স্থান নেই। পাণ্ডবেশ্বরের মানুষ তার সাংসদকে কাছে টেনে নিয়েছেন এবং পাণ্ডবেশ্বর প্রতিটা উন্নয়ন এবং পদক্ষেপে তিনি সদা তৎপর থাকবো বলেও জানান তিনি।