তালিকায় নাম দেখে অযোগ্যরা চাকরি পাকা করার জন্য টাকাও দিয়ে দিতেন কুন্তলকে। এমন দু’টি ভুয়ো ওয়েবসাইটের তদন্তে আরও তথ্য পেতে গুগল কর্তৃপক্ষকে ই-মেল করে বিস্তারিত জানতে চাইল সিবিআই। কোন ডোমেন ব্যবহার করে ওয়েবসাইটগুলি বানানো হয়েছিল? কার নামে ছিল সেই ডোমেন, তা কেনা হয়েছিল না ডোমেন ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, সে সব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, নিয়োগ মামলায় আর এক অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অয়ন শীলের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে চাকরির কাটমানির হিসেব পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, রাজ্যের পুরসভাগুলিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী পদে প্রায় পাঁচ হাজার জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তার জন্য ১২ কোটি টাকা ‘কাটমানি’ নিয়েছিলেন অয়ন। তাঁকে সাহায্য করেছিলেন পুরসভায় কর্মরত ব্যক্তিরা। সেই চক্রে কারা ছিলেন, তাঁর একটি তালিকা তৈরির চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, কুন্তলের ভুয়ো ওয়েবসাইটের কারসাজি শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের আগে থেকে। গুগলে সার্চ করলেই এসএসসি-র ওয়েবসাইটের পরে আসত কুন্তলের ভুয়ো ওয়েবসাইট। দেখতে একেবারে আসল ওয়েবসাইটের মতো। ফলে অযোগ্যরা তা দেখে বুঝতে পারতেন না কোনটি আসল আর কোনটি নকল। অযোগ্যদের নিজের অফিসে ডেকে, তাঁদের সামনেই ওয়েবসাইট থেকে ‘প্রিন্ট আউট’ বের করে হাতে দেওয়া হতো। বলা হতো, ‘আপনারা টেট উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছেন। বাকি টাকা দিলেই চাকরি পাকা।’ আর এই ফাঁদে পা দিতেন চাকরি প্রার্থীরা।