সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা যেখানে গাড়ি পৌঁছয় না, মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর উপায় সাইকেলে করে সেখানে পৌঁছলে তিনি। এদিন সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেন তিনি। পাশাপাশি যাঁরা এখনও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাননি তাঁদের হাতে তিনি নিজেই ফর্ম তুলে দেন।
প্রয়োজনীয় নথি সহ সেই ফর্ম জমা করার বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তিনি। কুলতুলি ব্লকের দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রামের দেউলবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাটি সাইকেলে করে ঘুরেছেন তিনি। সেই এলাকার অধিকাংশ মানুষ নদী থেকে মাছ ও কাঁকড়া সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এদিকে অপর একটি সমস্যা নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। জঙ্গলে মধু সংগ্রহের সময় বাঘের হামলা। এই ঘটনায় অনেকে তাঁদের আপনজনদের হারিয়েছেন।
সেই সমস্ত পরিবারের সঙ্গে গিয়েও কথা বলেন বীরেন্দ্র অধিকারী। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জাম মোল্লা স্বামীর মৃত্যুর পরও বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন না। তিনি অভিযোগের বিষয়টি সামনে রাখার পর তাঁর হাতে ফর্ম তুলে দেন বিডিও। পাশাপাশি যাবতীয় নথি প্রসঙ্গেও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় ওই প্রবীণাকে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, “দেখলাম বিডিও স্যার এসেছেন। যে সমস্ত বাসিন্দাদের পরিবারের সদস্যরা জঙ্গলে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সেই সমস্ত পরিবারের কাছে তিনি যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলছেন। তাঁরা বিধবাভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তিনি। যদি কেউ না পান সেক্ষেত্রে তাঁদের হাতে ফর্ম তুলে দিচ্ছেন তিনি।”
উল্লেখ্য, যাতে সমস্ত শ্রেণির মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যায় সেজন্য ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প চলছে জেলায় জেলায়। এই ক্যাম্পগুলিতে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য করা যেতে পারে আবেদন।
১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় দুয়ারে শিবির ক্যাম্প শুরু হচ্ছে। প্রথম সপ্তাহের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলিতে পাওয়া গিয়েছিল ব্যাপক সাফল্য।