Mango Tree: বাংলাকে ‘লেঙ্গি’ উত্তরপ্রদেশের, ল্যাংড়া আমের স্বীকৃতি পেল যোগী রাজ্য – why banarasi langda mango get gi tag instead of west bengal here are the reasons


‘ফলের রাজা আম’ আর ‘আমের রাজা ল্যাংড়া’। এই প্রবাদ নিয়ে যদিও অনেক ‘যুক্তি তক্ক গপ্পো’ রয়েছে। কিন্তু, এসবের মধ্যেই মুকুট নিয়ে গেল বারানসী ল্যাংড়া! ল্যাংড়া আম বিপুল পরিমাণ চাষ করেও স্বীকৃতি মিলল না বাংলার। ল্যাংড়া আমে জিআই ট্যাগ (ভৌগোলিক স্বীকৃতি) পেতে চলেছে বারানসী। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ বাংলার ল্যাংড়া আম চাষিদের। এই রাজ্যে যথেচ্ছ পরিমাণে চাষ হয় ল্যাংড়া আমের।

এর আগে জিআই ট্যাগ পেয়েছে মালদার তিনটি প্রজাতির আম। সেই তালিকায় রয়েছে মালদার লক্ষ্মণভোগ, ফজলি এবং হিমসাগর আম। এর ফলে মালদা তথা বাংলার নিজস্ব আম হিসেবে পরিচিতি লাভ করল এই আমগুলি (Malda Mango)। মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতরের তরফে জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনকে সিলমোহর দেওয়া হয়।

Mango On EMI : লাগামছাড়া দাম, এবার EMI-তে মিলবে আম!

তবে কেন ল্যাংড়া পেল না GI তকমা। রাজ্যের উদ্যান পালন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘হিমসাগর-লক্ষ্মণভোগ-ফজলি এগুলি একদম বাংলার নিজস্ব আম। ল্যাংড়া আম নিজস্ব আম কি না তা জোড় গলায় বলা কঠিন। পাশাপাশি আবেদন না করলে GI স্বীকৃতি পাওয়ার প্রশ্ন থাকে না। এক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে।’ রাজ্যের উদ্যান পালন দফতরের সহ অধিকর্তা রনজয় দত্তের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করে হলে এই সময় ডিজিটাল-কে তিনি বলেন, ‘এর আগে রাজ্যের তিনটি আম GI তকমা পেয়েছে। তবে ল্যাংড়ার ক্ষেত্রে কোনও আবেদন আমাদের থেকেই জানানো হয়নি। ফলে এই স্বীকৃতি প্রশ্নই ওঠে না।’

Potato Farmer : উঠছে না চাষের খরচ, মাথায় হাত মালদার আলু চাষিদের
মালদা জেলায় মোট ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। তার মধ্যে শুধু ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর ছবিতে ল্যাংড়া আম চাষ হয়ে থাকে। মালদা ছাড়াও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে যথেচ্ছ পরিমাণ এই আম চাষ হয়ে থাকে।

দিল্লি কাঁপাচ্ছে এখন মালদার ‘ফজলি’

‘বেনারসী ল্যাংড়ার’ খ্যাতি যদিও বিশ্বনন্দিত। ল্যাংড়া আম নিয়ে বেনারসে একটি গল্প খুবই প্রচলিত। এক শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দিরে এক বার এক সাধু থাকতে এলেন। শিবমন্দিরের পূজারি তাঁকে থাকার অনুমতিও দেন। সাধুর কাছে একটি আমের চারা ছিল। তিনি তা মন্দিরেই রোপন করেন।

Red Sandal Wood : জঙ্গলমহলের মাটিতেই হবে ‘পুষ্পার’র রক্তচন্দন
নিয়মিত যত্ন করায় খুব কম সময়ে তাতে মুকুল আসে। অতি সুস্বাদু হয় সে আমও । গাছের প্রথম ফল ওই মন্দিরের শিবলিঙ্গের উদ্দেশে পুজো দিয়ে তা কেটে মন্দিরে আগত ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে দান করা হয়। পরে এই আম চারা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কথিত আছে সেই পূজারি নাকি ল্যাংড়া ছিলেন। তাই এই গাছের কলম থেকে বানানো প্রতিটি গাছকে ‘বেনারসী ল্যাংড়া’ বলা হয়। ল্যাংড়া আমের নামকরণ নিয়ে এরকম একাধিক গল্প রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *