ওএমআর শিটে কার নম্বর বাড়াতে হবে, কার নম্বর কমাতে হবে, সুবীরেশের কথামতো তা ঠিক করে দিতেন ওই আধিকারিকই। এ ভাবেই টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় নাম উঠত অযোগ্যদের। ওই আধিকারিকের নাম ইতিমধ্যেই এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার চার্জশিটে রয়েছে। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করতে পারেন গোয়েন্দারা। সুবীরেশ এবং নীলাদ্রির জুটির রসায়ন জানতে এ বার ওই মহিলার আধিকারিককে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হতে পারে।
আপাতত এসএসসির গ্রুপ-সি মামলায় গ্রেপ্তার করা হলেও, প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চপ্রাথমিক, গ্রুপ-ডি, এমনকী নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র কারচুপির সঙ্গেও নীলাদ্রি যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ। কী ভাবে এই দুর্নীতি হয়েছে, তা দেখতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এসএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ওই মহিলা আধিকারিককে বিশেষ কিছু দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
সরকারি পদে কাজ করলেও সুবীরেশের কথাতেই তিনি চলতেন। যে সব অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা বিভিন্ন এজেন্ট মারফত সুবীরেশের কাছে আসত, সেগুলি ‘শর্ট লিস্ট’ করতেন ওই মহিলা আধিকারিক। টাকাপয়সার লেনদেন সম্পূর্ণ হলে সুবীরেশের নির্দেশে ওই তালিকা নিয়ে নীলাদ্রির সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি। বাকি দায়িত্ব সামলাতেন নীলাদ্রি।
টাকার লেনদেনের বিষয়ে মহিলা আধিকারিক কিছু জানতেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তদন্তের শুরুর দিকে ওই মহিলা আধিকারিকের বাড়িতে হানাও দেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত অক্টোবর মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১২ জনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, তাতে নাম রয়েছে তাঁর। যদিও তিনি এখনও এসএসসিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সুবীরেশ এবং নীলাদ্রি জুটির অজানা তথ্য পাওয়া যেতে পারে ওই মহিলা আধিকারিকের থেকে।