পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজা সেরে বাড়ি থেকে বাইরে বেরনোর পর কীর্তনখোলা মোড়ের দিকে আসছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। সেই সময় কয়েকজন তাঁর রাস্তা ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগয। গোটা ঘটনায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের নিশানা করেন তৃণমূল নেতা।
নেতার উপর আক্রমণের খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। তখনই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। আহত অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করেো কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসা করা হয়।
এই ঘটনার পর কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল নেতা মনোহর মণ্ডল। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এখনও অবধি এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তৃণমূল নেতার অভিযোগ, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই কারণে এলাকা উত্তপ্ত করতে সিপিএম এই ধরনের কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমাকে সন্ধেবেলা বাড়ির মোড়ের কাছে আক্রমণ করে। কিছু বলতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে আমাদের কর্মীরা সেখানে এলে তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা, ভেবেছিল আমাকে সরাতে পারলে ওঁদের রাজনৈতিক লাভ হবে।”
সিপিএমের কুলতুলি ব্লক এরিয়া কমিটির সম্পাদক উদয় মণ্ডল এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক অশান্তিকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতার পারিবারিক অশান্তিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও মারামারি হয়েছে। সেই ঘটনার দায় সিপিএমের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সিপিএম কর্মীদের উপর যাতে মামলা দেওয়া যায়, সেই কারণে এই অভিযোগ করা হচ্ছে। গোটা রাজ্যের বিরোধীদলের কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”
