প্রথম এক ঘোরানোর পরই গাছের গুড়ি ছিটকে পড়ে। চড়ক গাছে বড়শি লাগানো ব্যক্তিসহ গুড়ি ছিটকে মাটিতে পড়ার সময় মেলা দেখতে আসা বেশ কয়েকজন আহত হন। যার মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। আহতদের কমিটির লোকজন এবং স্থানীয়রা উদ্ধার করে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিপুল রায় জানান, “আচমকা গাছ ভেঙে পড়ে সবার মাঝে।
প্রথম একবার ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়ে গাছের গুড়ি। বড়শি লাগানো ব্যক্তিও ছিটকে পড়েন। একজন শিশু সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়”। বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রতাপ মজুমদার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছন। এই বিষয়ে তিনি জানান, “দূরদূরান্তের বহু মানুষ মেলা দেখতে এখানে ভিড় জমান প্রতি বছর।
বহু বছর থেকে এই চড়ক আয়োজিত হয়ে আসছে। কি কারনে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট নয়। এদিনের ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশকে, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত শুরু করেছেন”। স্থানীয় সূত্রে খবর, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এই সংক্রান্তির দিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই চড়ক আয়োজিত হয়ে থাকে। প্রথা এবং নিয়মরীতি মেনে এই পুজোর বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। যার মূল আয়োজন এই চড়ক। আর এই ঘটনা সংশয় তৈরি করেছে আয়োজকদের মধ্যে। যদিও একাংশের মতে, এটি নিছকই এক দুর্ঘটনা।
ভবিষ্যৎ-এও যে এরকম কিছু ঘটবে, তার কোনও কারণ নেই। চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজো হয়। বহু জায়গায় এই দিনে মেলা বসে এবং কয়েক দিন ধরে চলতে থাকে এই মেলা। শিবের গাজন হয় এই মেলায়। পাশাপাশি চড়কের দিনে শরীরে বাণবিদ্ধ করে ঝোলেন সন্ন্যাসীরা।