বাসিন্দাদের সেই সমস্যা মেটাতে এবং নিউ টাউনের বিভিন্ন ব্লকের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে সেখানে অ্যাপ নিয়ন্ত্রিত ই-রিকশা চালু করতে চলেছে প্রশাসন। এনকেডিএ ঠিক করেছে, অ্যাপের পাশাপাশি ফোন করেও ই-রিকশা বুকিংয়ের সুবিধে থাকবে। কারণ, নিউ টাউনে বহু প্রবীণ মানুষের বসবাস। যাঁদের অনেকেই স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত নন।
প্রশাসনের হিসেবে, নিউ টাউনে এখন ৪৫০টি ই-রিকশা চলে। যার সবগুলিকেই এই অ্যাপের আওতায় আনার চেষ্টা করছে এনকেডিএ। প্রতিটি রুটের জন্য ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, ‘যাত্রীদের সুবিধের কথা মাথায় রেখে আমরা কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার জন্য সরকারি অ্যাপ ক্যাব পরিষেবা চালু করতে চলেছি। নিউ টাউনে এনকেডিএ যে পরিকল্পনা করেছে তা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। দপ্তর সব রকমভাবে সাহায্য করবে।’ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে দুর্গাপুজোর আগেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে এনকেডিএ-র দাবি।
নিউ টাউনে সব মিলিয়ে ব্লকের সংখ্যা ৩৩। বসবাস প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষের। যাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ষাটোর্ধ্ব। কিন্তু ডিবি ব্লকের সৌমিত্র দত্ত জানাচ্ছেন, সব ব্লকে ই-রিকশা মেলে না। নজরুলতীর্থ স্ট্যান্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরে ই-রিকশা চালান পুলক মণ্ডল। তিনি বলছেন, ‘নজরুলতীর্থ, রবীন্দ্রতীর্থের মতে কয়েকটি জায়গা থেকে সাধারণত সব সময়ে যাত্রী পাওয়া যায়।
সেই জন্যই অধিকাংশ গাড়ি এই সব জাগায় থাকে। অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং চালু হলে আমাদেরও সুবিধে হবে।’ নিউ টাউন ফোরাম অ্যান্ড নিউজে়র তরফে সমরেশ দাসের বক্তব্য, ‘এটা আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল। এটা চালু হলে উপনগরীর পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হবে।’