ওখান থেকেই তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন GRP-র আধিকারিকরা। সাঁতরাগাছি স্টেশনে নামার পরই তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা কোথা থেকে আসছিল আর কে কে ছিল, কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ মাদক, কাদেরকে বিক্রি করার কথা ছিল – সমস্ত ব্যাপারে তদন্ত করছেন সাঁতরাগাছি GRP-র পাশাপাশি খড়গপুর GRP-র আধিকারিকরা।
এদিকে আজ সকালেও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গাড়িতে করে গাঁজা পাচারের সময় ধরে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা। আবার একই দিনে বিকেলে স্টেশন থেকে গাঁজা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিন সপ্তাহ আগেই গভীর রাতে ১২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ।
রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে লাখ লাখ টাকার এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের সার্ভে পার্ক থানা এবং নারকোটিকস বিভাগের আধিকারিকেরা। গভীর রাতে ইএম বাইপাসে একটি গাড়ি থেকে এই গাঁজা উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত করা গাড়ির সিটের নিচ-সহ আলাদা আলাদা জায়গায় এই গাঁজা লুকনো ছিল।
এছাড়াও সম্প্রতি ৬ দিন আগেই বারাসতের হৃদয়পুর মোড় থেকে গাঁজা সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে STF ও বারাসত থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য ১ লাখ টাকারও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাসতের হৃদয়পুর মোড়ে বন্ধ পেট্রোল পাম্পের কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে এই জেলায় কাদের হাতে গাঁজা পাচার করার পরিকল্পনা ছিল, এখান থেকে এই মাদক কোথায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তা স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।