গত শুক্রবার থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন CBI আধিকারিকরা। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের আরও এক বিধায়কের গ্রেফতারির আশায় বুক বাঁধছে বিরোধীরা।
রবিবার বিকালে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে কলকাতা ফিরে BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদদিলীপ ঘোষজানান, CBI চেষ্টা করছে শুধু বাংলায় নয় সারা ভারতবর্ষে জুড়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন সরকার যে দুর্নীতি করেছে, আমলা ব্যবসায়ী তাতে সবাই যুক্ত যত তল্লাশি চলছে তার তথ্য আসছে। তৃণমূলের সাংসদ বিধায়করা যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। আমরা দেখতেই পাচ্ছি। যেখানে তল্লাশি হচ্ছে সেখানে কিছু না কিছু পাওয়া যাচ্ছে।
তবে এখানেই শেষ নয়। তদন্ত এগোলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান দিলীপের। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে ব্যাগ ভর্তি মার্কশিট পাওয়া গিয়েছে বলে CBI সূত্রে খবর। এ বিষয়ে দিলীপ বলেন, “দেখুন এরকম অনেক জায়গায় অনেক লোক আছে আমরা বারবার বলছি বহু তথ্য বাকি আছে পাওয়ার। সময়ের অপেক্ষা যেমনভাবে তদন্ত এগোবে সেরকম ভাবে সবকিছু সামনে আসবে।”
নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশিএদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরউত্তরপ্রদেশ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়েও সমালোচনা করতে দেখা যায়। যোগী রাজ্যে কুখ্যাত দুষ্কৃতী পুলিশের সামনে এনকাউন্টার হওয়া নিয়ে টুইটারে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “যে পশ্চিমবাংলায় পাড়ায় পাড়ায় বোম বন্দুক চলছে। পার্টির মধ্যে খুনখুনি চলছে জেলায় জেলায় লাশ পড়ে যাচ্ছে তারা কোন মুখে উত্তরপ্রদেশের কথা আলোচনা করেন নিজেরা আগে ঠিকঠাক করুন উত্তর প্রদেশ দেখার মত উত্তরপ্রদেশে লোক আছে।”
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের স্ট্যান্ডিং কমিটির হয়ে নববর্ষে দু’দিনের আন্দামান সফরে যান দিলীপ ঘোষ। অনুমতি সাপেক্ষে সেই কারণে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীঅমিত শাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান তিনি।
