মৌপিয়া নন্দী: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্র ধরে ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুন্তুল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের তরফে মন্তব্য করা হয় ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত’। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দেওয়া ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্চের নির্দেশের উপরে স্থাগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জানা যাচ্ছে এর পরেও সোমবার পৌনে দুটো নাগাদ একটি নোটিস পৌঁছেছে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে।
আরও পড়ুন-‘অভিজিৎ গাঙ্গোপাধ্যায়ের টার্গেট অভিষেক’, বেনজির সংঘাতে হাইকোর্ট-তৃণমূল
সিবিআইয়ের ওই নোটিসে বলা হয়েছে আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দিতে হবে নিজাম প্য়ালেসে। এদিকে, সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের ওই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে হাজিরা দিচ্ছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করতে চলেছেন। হাইকোর্চের নির্দেশের উপরে আজই স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর সিবিআইয়ের ওই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে সিবিআই ওই নোটিস দিতে বলে।
গত ৬ এপ্রিল কুন্তলকে যখন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়, তখন বিচারককে একটি চিঠি দেন কুন্তল। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা’। বিচারককে কেন চিঠি? পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এদিন কুণাল ঘোষ সরাসরি বিচারপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘একজন বন্দির অধিকার আছে বিচারককে চিঠি লেখার। দোষীদের অধিকার নিয়ে উনি ছেলেখেলা করছেন। বিচারপতি এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ করছেন। ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করার চেষ্টা করছেন।’
সবিস্তার আসছে….