গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক
এদিকে, টানা ৬৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে CBI-এর হাতে সোমবার ভোরে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তিনদিন ধরে বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় CBI। এরপর সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে CBI ক্যাম্পে। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষার পর কলকাতায়র নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয় জীবনকৃষ্ণকে। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অসহযোগিতা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে। অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই তৃণমূল বিধায়ককে।
উদ্ধার জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল
উদ্ধার করা হয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোনও। যেটি তিনি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। ৬৬ ঘণ্টা তল্লাশির পর পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বড়ঞা তৃণমূল বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইলটি। রবিবার সকালে পুকুরের পাঁক থেকে উদ্ধার হয় জীবনকৃষ্ণের প্রথম মোবাইল। প্রথম মোবাইল মেলার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার পাওয়া গেল দ্বিতীয় মোবাইল। গত শুক্রবার এই জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে প্রথম হানা দেয় CBI। তারপর থেকে সেখানেই হত্যে দিয়ে পড়ে ছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রথমে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা, তারপর পুকুরে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। ঘটনার ঘনঘটায় তিনদিন ধরে খবরের শিরোনামে ছিলেন এই জীবনকৃষ্ণ। মোবাইলগুলি এতটা লম্বা সময় পাঁকে জলে ডুবে থাকায় তা থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা উদ্ধারের জন্য হায়দরাবাদে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতি রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে? এই নিয়েই এবারল তদন্ত চালাতে চায় CBI।
এদিকে, জীবনকৃষ্ণ থানার গ্রেফতারির পর সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা মন্ত্রীরা এই নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি।