Load shedding in West Bengal: গরমের দোসর লোডশেডিং, শহর থেকে শহরতলিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট! বাড়ছে ক্ষোভ – massive power cut in west bengal cesc and wbsedcl blames over uses of ac


চাঁদিফাটা রোদ, বাইরে বইছে লু। তাপমাত্রার পারদ রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে তাপমাত্রার পারদ। মরুশহরকেও টেক্কা দিয়েছে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। এমন দুঃসহ গরমে নরক যন্ত্রণা লোডশেডিং। গরম ও বিদ্যুৎ না থাকার জের অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। শুধু জেলার পশ্চিমবঙ্গ ইলেকট্রিসিটি ড্রিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-এর অন্তর্গত এলাকাই নয়, কলকাতার সিইএসসি এলাকার মানুষও দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে নাজেহাল।

কী কারণে এই লোডশেডিং?

এমন নজিরবিহীন গরমের দেখা গত এক দশকে বঙ্গে মেলেনি। একইসঙ্গে গত কয়েকবছরে লোডশেডিং কলকাতাবাসীর জন্য ভুলতে বসা ল্যান্ডফোন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এমন গরমে আবারও দুঃস্বপ্নের মতো ফিরে এসেছে সেই পুরনো লোডশেডিংয়ের স্মৃতি। কিন্তু কেন আচমকা এমন লোডশেডিংয়ের দাপট। সরকারি এবং বেসরকারি দুই সংস্থাই এই বিদ্যুৎ না থাকার সমস্যার জন্য এসি ব্যবহারের বাড়বড়ন্তেই এই দুরবস্থা। আচমকা ঘরে ঘরে এয়ারকন্ডিশন ব্যবহারে উৎপাদনের অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা হওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি।

CESC Kolkata : তীব্র গরমে লোডশেডিং রুখতে প্রয়োজন সচেতনতা, গ্রাহকদের বিশেষ আবেদন CESC-র

অজানা লোড লোডশেডিংয়ের মূল কারণ

ডব্লুবিডিসিএল (WBSEDCL) ও সিইএসসি (CESC) দুই বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, গরমে এবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে এসির ব্যবহার। কিন্তু অনেকেই নিয়ম না মেনে বেআইনি ভাবে এসির সংযোগ নিচ্ছেন। ফলে, বিদ্যুৎ দফতরের অজান্তেই বেড়ে যাচ্ছে লোড। এর জেরে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। কোথাও ট্রান্সফর্মারে আগুন লেগে যাচ্ছে তো কোথায় ভোল্টেজ নেই পাখা ঘোরারও। ফলে ইঞ্জিনিয়ার ঠিক করে দিয়ে যাওয়ার পরও আবার কানেকশন চলে যাচ্ছে।

Heatwave In Kolkata : সপ্তাহখানেক বইবে লু! আরও বাড়বে তাপমাত্রা, পথে বেরোলেই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি

লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস মানুষের

নিউটাউন, বালিগঞ্জের অভিজাত পাড়া থেকে উত্তর কলকাতা মধ্যবিত্তের আড্ডার রক। লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত সকলে। ইঞ্জিনিয়ারদের আননোন লোডের যুক্তি মানতে তারা নারাজ। নিউটাউনবাসী সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ”লোড বুঝতে না পারাটা শুধু মাত্র নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া। প্রথমদিন এমন জিনিস হওয়ার পর বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করা যেত। এমন গরমে কারেন্ট ছাড়া শিশু-বয়স্করা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।”

Summer Heat : এক বালতি জলের জন্য গোটা ১ দিনের অপেক্ষা! চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল বাসিন্দারা

সোমবার রাতে ৪১ ডিগ্রির উপরও বেশি গরমে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর, দাশনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। দফায় দফায় সারাদিন বিদ্যুৎ যাওয়ার পর রাতেও কারেন্ট না আসায় স্থানীয়রা কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বাড়িতে চড়াও হন। কোথাও আবার লাইন সারাতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ক্ষোভের মুখে বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *