Moon Moon Sen : ‘আমি কোনও দলে নেই’, তৃণমূল সংস্রব ত্যাগ মুনমুন সেনের – moon moon sen clarifies her political stand point


২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে বাঁকুড়ার সাংসদ। যদিও পরেরবার আর জিততে পারেননি তিনি। কেন্দ্র বদল হতেই ২০১৯ সালে বাবুল সুপ্রিয়র কাছে আসানসোলে হেরে যান মুনমুন সেন (Moon Moon Sen)। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ফ্রেম থেকে যেন আউটই হয়ে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০২১ সালের আগে তাঁর দলবদল নিয়েও বিস্তর জল্পনা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কী? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মুনমুন সেন।

Tripura Assembly Election 2023 : ত্রিপুরার ‘রাজকাহিনী’তে মিশে আছে বিজেপি-তৃ়ণমূল, খোদ রাজা বাম ঘনিষ্ঠ!

তৃণমূলে আর নেই মুনমুন সেন?

সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মুনমুন সেন। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রয়েছেন তিনি? এ প্রশ্নের জবাবে মুনমুন সেন বলেন, “শোনো আমি কোনও পার্টিতে নেই আর।” অর্থাৎ তিনি যে আর সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করছেন না তা কার্যত স্পষ্ট হয় এই বার্তায়। পাকাপাকিভাবেই যে তৃণমূলের সংস্রব ত্যাগ করেছেন, তা নিজের কথাতেই বুঝিয়ে দেন সুচিত্রা-কন্যা। যদিও ইদানিংকালে তাঁকে তেমনভাবে পার্টির কোনও কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় না। অন্যদিকে, BJP-তে যোগদানের যে জল্পনা উঠেছিল, তাতেও জল ঢাললেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম দাপুটে এই অভিনেত্রী।

মুনমুন সেন তখন তরুণী, বাবা-মা’র বিবাহবার্ষিকীতে ছবি দিলেন রাইমা
মুনমুন-বাবুল দ্বৈরথ

২০১৯ সালে বাঁকুড়া থেকে নিয়ে এসে আসানসোলে প্রার্থী হিসেবে তাঁকে দাঁড় করানো নিয়েও বেশ চর্চায় ছিলেন মুনমুন সেন। তিনি যদিও সে সময় বলেছিলেন, আসানসোলে না জিতেও যখন তৃণমূল সেখানে ভালো কাজ করেছে তখন মানুষ তাঁকেই জেতাবে। এ ব্যাপারে ৭০ শতাংশ আশাবাদী ছিলেন তিনি। মুনমুনের প্রতিপক্ষ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তৎকালীণ BJP নেতা বাবুল সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল, “বাবুল সুইট ছেলে!”

এছাড়াও আসানসোলের ভোটের প্রচারে মুনমুন সেনের পোস্টারে অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের ছবি ব্যবহার করা নিয়েও একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি BJP।

Moon Moon Sen Birthday : শর্ট স্কার্ট পরলেই মেয়েদের কড়া শাসন মুনমুনের? মায়ের গোপন কথা ফাঁস রিয়ার

BJP-র সঙ্গে মুনমুনের রসায়ণ

ত্রিপুরা নির্বাচনের সময়ও চর্চায় ছিলেন মুনমুন সেন। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা BJP-র হয়ে লড়াই করছিলেন। ১৯৭৮ সালে মুনমুন সেনের সাথে বিয়ে হয় ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য ভরত দেববর্মার। ফলে পারিবারিক সূত্রে তাঁর বৌদি মুনমুন সেন। ফলে এখানেই ঘাসফুল আর জোড়াফুলের মধ্যে এই আত্মিক সম্পর্ক ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছিল।

বিজেপি ও তৃণমূলের রাজ পরিবারের এই রসায়ণ নিয়ে বিস্তর কাটাছেড়া হয়। নির্বাচনী প্রচারে বৌদি মুনমুনকে যিষ্ণ দেববর্মা সঙ্গে পাবেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলতে থাকে। BJP-র তরফে দেওয়া নির্বাচনী প্রচারের তালিকায় ছিল মুনমুন সেনের নাম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *