কী বললেন দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়?
দলের ফেরার গুঞ্জন নিয়ে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “আমি পার্টিতে ছিলাম, আছি, থাকব। নেতৃত্ব যদি মনে করেন আমাদের মতো কর্মীদের পার্টিতে সরাসরি থাকা দরকার, আমার থেকে বয়সে ছোট হলেও পার্টির অভিজ্ঞ নেতৃত্ব রয়েছেন, তাঁরা যদি মনে করেন আমার রাজনৈতিক যোগ্য নিয়ে রাস্তায় থাকা দরকার, তবে আমিও প্রস্তুত। যে কোনওরকম রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য আমি তৈরি।”
দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কোনওদিনও নিষ্ক্রীয় ছিলাম না। আমি পার্টিতে সক্রিয়ভাবেই রয়েছি। যে কোনও রাজনৈতিক দলে, বিশেষ করে কমিউনিস্ট পার্টিতে নীতি নির্ধারক যদি ৫ ভাগ হয় তবে ৯৫ ভাগ হল আমরা, যারা পথে ঘাটে লড়াই করি। বাইরে থেকে আমরা দলটাকে শক্তিশালী করি। সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে সেলিম পর্যন্ত হল সেই ৫ শতাংশ। আর মিছিল-মিটিংয়ে থাকি সেই ৯৫ ভাগের মধ্যে পড়ি আমি। সেখানে দাঁড়িয়ে পার্টি যদি মনে করে আমাদের মতো কর্মীকে ওই ৫ ভাগে যুক্ত করবে তাহলে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। গর্ব অনুভব করছি। আমি প্রস্তুত।”
দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “আমাদের শুদ্ধতা তো BJP-তৃণমূলের মতো নয়। আমরা শিরদাঁড়া সোজা রেখে হাঁটি। আমাদের মূল্যবোধ অনেক শক্তিশালী। ফলে আমাদের দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারে না। ফলে শুভবুদ্ধির শক্তি যত বাড়বে ততই ভালো। কয়েকজন নেতা কর্মী তো কেবল লড়াই চালিয়ে যেতে পারবে না। ফলে যারা পথে ঘাটে থেকে পার্টি করে, তাঁরা যুক্ত হতে পারলে আরও শক্তিশালী হবে লড়াই আন্দোলন।”
কী জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম?
এই প্রসঙ্গে এ দিন CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “যারা একটু দূরে চলে গিয়েছিলেন, সরে গিয়েছিলেন, তাঁদের আমরা সঙ্গে নিচ্ছি। যারা দূরে যাননি, তাঁরা তো রয়েছেনই।” তবে দুলালের সদস্যপদ ফেরানোর কোনও নিশ্চয়তা সেলিম দেননি। কলকাতা জেলা কমিটি সূত্রে খবর, দুলালকে যেহেতু CPIM রাজ্য কমিটি বহিষ্কার করেছিল, তাই তাঁকে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আলিমুদ্দিন থেকেই নেওয়া হবে।
২০ বছর আগের ঘটনা
২০০২ সালের ৪ মার্চ। দমদমে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় ১১ এপ্রিল গ্রেফতার হয়েছিল দুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর ২০০৩ সালের ২৯ অগাস্ট যাবজ্জীবনের সাজা হয় তাঁর। তার পরই তাঁর সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয় খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। এক দশকেরও বেশি জেলবন্দি থাকার পরও CPIM-এর মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন দুলাল।