প্রসেনজিৎ মালাকার: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। অবশেষে নড়চড়ে বসল প্রশাসন। বোলপুরে আশ্রয় পেল ঘরছাড়া ৩ আদিবাসী পরিবার। কোথায়? আপাতত একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করল প্রশাসন। ‘দ্রুত বাড়ি ফেরানো হবে’, আশ্বাস দিলেন মহকুমাশাসক।
ঘটনাটি ঠিক কী? বোলপুরের সিয়ান পঞ্চায়েতের মণিকুন্ডুডাঙ্গা গ্রামটি আদিবাসী অধ্যুষিত। সেই গ্রামেই থাকত ওই ৩ আদিবাসী পরিবারও। তখন করোনার আতঙ্কে গৃহবন্দী সকলেই। ২০২০ সালে ২১শে জুলাই গ্রামে সালিসি সভা বসে। অভিযোগ, সালিশি সভায় ওই ৩ আদিবাসী পরিবারের ১২ জন্য সদস্যকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে গ্রামছাড়া করার নিদান দেন মাতব্বর!
তারপর? কখনও স্টেশন চত্বর, তো কখনও আবার বাসস্ট্যান্ড। এমনকী, খোলা আকাশে নিচেও দিন কাটছে ওই ৩ আদিবাসী পরিবারের। গ্রাম ফেরা তো দূর, ৩ বছর ধরে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও নাকি সমস্য়ার সুরাহা হয়নি! এদিন বোলপুরে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন ওই ৩ আদিবাসী পরিবার। সেই খবর জি ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
কেন ডাইনি অপবাদ? কেনই-বা গ্রামছাড়ার নিদান? ২০২০ সালে মণিকুন্ডুডাঙ্গা গ্রামে কুকুরে কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, সেই কুকুরটিই নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে আরও বেশ কয়েকজনকে কামড়ায়! এরপরই গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে ওই ৩ আদিবাসী পরিবারকে ডাইনি অপবাদে গ্রামছাড়া করার নিদান দেন মাতব্বররা!