মঙ্গলবার সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের একতলার সার্ভার রুমে আগুন দেখা যায় বলে খবর। সেখানে রোগী না থাকলেও এসি ডাক্ট দিয়ে হাসপাতালে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ ছড়ায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। পরে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে পাঠানো হয় আরও চারটি ইঞ্জিন। ছয়টি ইঞ্জিনের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
অগ্নিকাণ্ডের জেরে মূলত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দোতলার সিসিইউ-তে। সেখানে একাধিক রোগী ভর্তি ছিলেন। তাদের আত্মীয়েরা আতঙ্কে দৌড়োদৌড়ি শুরু করে। আগুনের জেরে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
এর জেরে থমকে পড়ার পরিস্থিতি হয় হাসপাতালের সমস্ত জরুরি পরিষেবার। সিসিইউ-তে ভেন্টিলেটর সহ রোগীর প্রয়োজনীয় মেশিন সচল রাখতে ব্যাটারি ব্যাকআপকে কাজে লাগানো হয়। এমনকী ব্যাটারি টর্চ জ্বালিয়ে সারা হয় জরুরি অপারেশন।
জানা গিয়েছে, ডঃ সুনির্মল চৌধুরি তত্ত্বাবধানে ৪৬ বছরের এক মহিলার ডানদিকের কিডনিতে থাকা টিউমারের অপারেশন করা হয় টর্চের আলোয়। আসলে অগ্নিকাণ্ডের আগে অপারেশন শুরু হলেও, ৫০ মিনিট পরে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে যায়। তখন অপারেশন শেষ করতে টর্চ জ্বালানো হয়। অন্ধকারেই সফল হয়েছে অপারেশন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিন এই ঘটনার জেরে ফিরে আসে ২০১১ সালে ঢাকুরিয়া আমরির অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি। সেবারে আগুনে দগ্ধ হয়ে ও কালো ধোঁয়ায় দম আটকে মৃত্যু হয়েছিল রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী সহ ৮৮ জনের।