লাঠি, রড,ঘরে থাকা আসবাব, শিলনোড়া, পাথর নিয়ে একাধিক যুবককে নির্মমভাবে মারধর করতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। মারের হাত থেকে রেহাই পায় নি সিভিক ভলান্টিয়াররাও। এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে লুকোনোর জায়গা দেওয়ার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন ২৫-৩০ জন পুলিশকর্মী।
মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া পুলিশকে ঘরে ঢুকে বেদম মারধর করে তারা। সেই ভয়ঙ্কর ছবি ভাইরাল হতেই শিউরে উঠছেন অনেকে। ঘটনার আতঙ্কিত থানা পাড়া এলাকার বাসিন্দা৷ বিশেষ করে যাদের বাড়িগুলোতে তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটেছে৷
বুধবার দুপুরে গিয়ে ওই বাড়িগুলোতে দেখা যায় তাণ্ডবের ঘটনার টাটকা ক্ষত। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের মারের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল৷ কিন্তু, সেখানেই পুলিশকে ঘিরে ধরে চলে তাণ্ডব, মারধর৷ ওই ঘরে আটকে থাকা এক পুলিশ কনস্টেবল রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জানিয়েছেন, একজন এএসআই সহ চার কনস্টেবল ওই ঘরে আটকে পড়ে। তাদের কোন কথাই শুনতে চায়নি বিক্ষোভকারীরা। করজোড়ে প্রাণভিক্ষা চান তারা। তবুও চলে মারধর। যদিও চাকুরিগত কারণে ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি তিনি।
অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাদের রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হবে। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এই ঘটনার জেরে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ শহরের ৪, ৫, ৬ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জারি ১৪৪ ধারা।