কি পদ্ধতিতে সঠিক পথে প্রতিবাদ করলে মিলবে সুরাহা, তারও পথ খুঁজে পান না অনেকেই। আইনের চোখে নারীদের উপর এই ধরনের অত্যাচার দণ্ডনীয়। কিন্তু আইনের কাছ পর্যন্ত পৌঁছনো বহু ক্ষেত্রেই এই সব প্রান্তিক এলাকার মহিলাদের কাছে অনেকটাই কঠিন হয়ে ওঠে।
সীমান্তবর্তী এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আইনের সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লকের রামচন্দ্রপুর হাইস্কুলে। জানা যায়, একটি বেসরকারি কলেজের আইন বিভাগের পক্ষ থেকে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। যেখানে নাটকের মাধ্যমে নারীদের সামাজিক সমস্যা থেকে অত্যাচার সহ নানা বিষয়ে সমাধানের পথ, উপস্থাপনা মাধ্যমে দেখানো হয় উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের।
কিভাবে প্রতিবাদ করতে হবে, কোন উপায়ে কোন ধারায় লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে প্রশাসনের কাছে, কি অপরাধে কতটা শাস্তি হতে পারে অভিযুক্তের সেই বিষয়টিকেও তুলে ধরা হয় এই কর্মশালায়। প্রান্তিক এলাকার মানুষেরা এদিন মন দিয়ে শুনলেন গোটা বিষয়টি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন নিজেদের অধিকার।
ছাত্র-ছাত্রীরা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, তাই তাদেরও আইনি সহায়তার নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এই সেমিনারে অংশ নিয়ে খুশি প্রান্তিক এলাকার মহিলারা সহ ছাত্রছাত্রীরাও। আগামি দিনে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে তারাও পিছপা হবেন না বলেই জানান।
সেমিনারের উদ্যোক্তা তথা কলেজের আইন বিভাগের প্রধান সৌভিক চট্টোপাধ্যায় জানান, “সীমান্ত এলাকায় নারী ও মহিলাদের উপর হয়ে চলা অত্যাচারের বহু বিষয়েই উঠে আসে না প্রকাশ্যে। তবে তারাও যাতে আইনি পরিষেবা ব্যবহার করে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। এর মধ্য দিয়ে সচেতনতা তৈরি হলে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত হবেন প্রান্তিক এলাকার মহিলারা বলেই মনে করা হচ্ছে।”
এই সেমিনারে অংশ নিয়ে স্থানীয় এক মহিলা জানান, “আজ এখানে এসে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সেই সঙ্গে মনে জোর পেলাম যে এবার ঘরে বাইরে যা খুশি করে কেউ পার পেয়ে যাবে না।”