শনিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে ৬৬ তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে স্কুল পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অংশ নেন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়।
আগামী তিন দিনব্যাপী ফুটবল খেলা চলবে স্টেডিয়ামে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ২৩ টি জেলা থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরে মোট ২৫ টি ফুটবল টিম অংশগ্রহণ করেছে। জানা গিয়েছে, মোট ৭৩০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে এই প্রতিযোগিতায় । ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম, ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশনের মাঠে, সেবায়তন এলাকায়, কাপগাড়ি সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয় এর প্রাঙ্গণ এবং পুকুরিয়া ফুটবল মাঠে খেলাগুলি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,” প্রযুক্তিকে বাদ দেওয়ার কথা বলব না। কিন্তু হাতের ওই ৬ ইঞ্চি মোবাইল থেকে পড়ুয়াদের মাঠমুখো করতে হবে। যাতে তাদের শরীরিক বিকাশের পাশাপাশি মস্তিষ্কেরও বিকাশ হয়। সবুজ মাঠের কোন বিকল্প নেই।”
খেলায় অংশগ্রহণকারীদের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,”খেলায় তোমরা সকলে জিতবে না এটা ঠিক। কিন্তু তোমরা সকলে অংশগ্রহণ করছো এটাই বড় কথা।” আগামী দিনে রাজ্য থেকে আরও বেশি করে প্রতিভাশালী খেলোয়াড় তৈরি হোক, সেই বার্তা দেন তিনি।
এদিনের অনু্ষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বন রাষ্ট্রমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে বিগত বছরগুলিতে বন্ধ ছিল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা না হওয়ার কারণে অনুৎসাহী হয়ে পড়েছিলেন অনেক ক্রীড়াপ্রেমী পড়ুয়ারা। এ বছর ফের রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন খুশি সকলেই। উল্লেখ্য, প্রতি বছরই রাজ্যস্তরে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিভাশালী খেলোয়াড়দের তুলে আনার জন্য জেলাভিত্তিক এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এর আগে অন্যান্য জেলাতেও এই ধরনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।