Durgapur News: যৌন সুখের চাহিদায় করেছিলেন সূচের ব্যবহার। বিকৃত যৌন কামনার নিজের পুরুষাঙ্গে ঢুকিয়েছিলেন সূচ। সেই সূচ আর বার না হওয়ায় বিপাকে প্রৌঢ়। আসানসোলের বাসিন্দা বছর ৫০-এর ওই প্রৌঢ়, যন্ত্রণায় থাকতে না পেরে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতেই সামনে আসে আসল বিষয়।শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে ওই প্রৌঢ়ের পুরুষাঙ্গ থেকে বের করা হয় ধারালো দু-দুটি সূচ ।ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাড়িতে যৌনাচারের সময় নিজের পুরুষাঙ্গে দুটি সূচ প্রবেশ করিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। কিন্তু এই কাণ্ডের পরে তা আর তিনি বের করতে পারেননি। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, বৃহস্পতিবার তাঁর লিঙ্গে সাংঘাতিক যন্ত্রণা শুরু হয়। পাশাপাশি শুরু হয় মূত্রের সঙ্গে রক্তক্ষরণ। এরপরই তড়িঘড়ি তিনি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।

Viral News: একই শিশুর শরীরে দু’টি পুরুষাঙ্গ, নেই কোনও মলদ্বার! দেখে হতবাক চিকিৎসকেরা

জানা গিয়েছে, সমস্যার আসল কারণ নিয়ে তিনি চিকিৎসককে কিছুই জানাননি। চিকিৎসকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। এক্স রে রিপোর্ট আসতেই সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হয়। তখন রোগীকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি দাবি করেন, সঠিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে না পারায় সে এমন করেছে।

তবে চিকিৎসকের দাবি, এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। মূত্রনালীতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত এবং বিকৃত যৌন লালসার জন্যই এমন কাজ করেছেন।ওই ব্যক্তি এমন বিকৃত ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। তখন কোনও ধারালো জিনিস নিয়ে যৌনাচার না করায় তিনি বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান।

Malda News : নির্ধারিত ল্যাবেই পরীক্ষা করাতে হবে! নাকোচ করায় রোগীর পরিজনের সঙ্গে অভব্য আচরণ চিকিৎসকের

দুর্গাপুরের স্বনামধন্য ইউরোলজিস্ট পার্থসারথি চন্দ্র এবিষয়ে বলেন, ”ওই রোগীর মূত্রনালী থেকে দুটি ধারালো সূচ উদ্ধার হয়েছে। রোগীকে হাই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। যেহেতু সূচ দুটি জং ধরা তাই ইনফেকশনের আশঙ্কা রয়েছে।”

Kolkata Hospital : এমআরআই করাতে গিয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে প্রশ্ন

ওই প্রৌঢ়ের ঠিক কী হয়েছে তা জানতে চাওয়ায় চিকিৎসক বলেন,”রোগীর পরিস্থিতি খুবই জটিল ছিল কারণ প্রথমে সূচ দুটি মূত্রনালীর মধ্যে ভাসমান অবস্থায় ছিল কিন্তু পরে সেগুলি মূত্রনালীতে গেঁথে যায়। ফলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মানুষের মূত্রনালি খুবই সংকীর্ণ হয়। তাই সেটি কেটে কোনরকম অস্ত্রোপচার হয় না। সৌভাগ্যবশত, কোন কাটা ছেঁড়া ছাড়াই সমান্তরালভাবে সূচ দুটি বার করা সম্ভব হয়েছে। না হলে ওই ব্যক্তির মূত্রনালিটি ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রোগী এখন ভালো আছে।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমন বিকৃত কাজ নিয়ে সাবধান করেছেন চিকিৎসকেরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *