জানা গিয়েছে, সমস্যার আসল কারণ নিয়ে তিনি চিকিৎসককে কিছুই জানাননি। চিকিৎসকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। এক্স রে রিপোর্ট আসতেই সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার হয়। তখন রোগীকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি দাবি করেন, সঠিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে না পারায় সে এমন করেছে।
তবে চিকিৎসকের দাবি, এটি সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। মূত্রনালীতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত এবং বিকৃত যৌন লালসার জন্যই এমন কাজ করেছেন।ওই ব্যক্তি এমন বিকৃত ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। তখন কোনও ধারালো জিনিস নিয়ে যৌনাচার না করায় তিনি বিপদের হাত থেকে রক্ষা পান।
দুর্গাপুরের স্বনামধন্য ইউরোলজিস্ট পার্থসারথি চন্দ্র এবিষয়ে বলেন, ”ওই রোগীর মূত্রনালী থেকে দুটি ধারালো সূচ উদ্ধার হয়েছে। রোগীকে হাই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। যেহেতু সূচ দুটি জং ধরা তাই ইনফেকশনের আশঙ্কা রয়েছে।”
ওই প্রৌঢ়ের ঠিক কী হয়েছে তা জানতে চাওয়ায় চিকিৎসক বলেন,”রোগীর পরিস্থিতি খুবই জটিল ছিল কারণ প্রথমে সূচ দুটি মূত্রনালীর মধ্যে ভাসমান অবস্থায় ছিল কিন্তু পরে সেগুলি মূত্রনালীতে গেঁথে যায়। ফলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মানুষের মূত্রনালি খুবই সংকীর্ণ হয়। তাই সেটি কেটে কোনরকম অস্ত্রোপচার হয় না। সৌভাগ্যবশত, কোন কাটা ছেঁড়া ছাড়াই সমান্তরালভাবে সূচ দুটি বার করা সম্ভব হয়েছে। না হলে ওই ব্যক্তির মূত্রনালিটি ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। রোগী এখন ভালো আছে।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এমন বিকৃত কাজ নিয়ে সাবধান করেছেন চিকিৎসকেরা।