OMR Sheet : প্রাথমিকের ওএমআর শিট স্ক্যানও করা হয়নি: সিবিআই – in 2016 primary recruitment corruption case omr sheet was not scanned and preserved claimed by cbi


এই সময়: যে ওএমআর শিটে গরমিলের অভিযোগ, তা তো নষ্ট করে পুনর্ব্যবহারের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। এমনকী সেই ওএমআর শিট স্ক্যান করেও সংরক্ষণ করা হয়নি। ২০১৬-এর প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে এমনই বিস্ফোরক তথ্য জমা দিয়েছে সিবিআই। কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সেখানে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়েছে।

Recruitment Scam : প্যানেলের আগেই সই সুপারিশপত্রে!
তদন্তকারীদের দাবি, মানিক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকার সময়েই বোর্ড মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২০১৪-এর টেট-সহ বিভিন্ন নথির ডিজিটাইজেশন করা হবে। যদিও বোর্ডের সদস্যরা সিবিআইকে জানান, এনিয়ে কোনও রেজলিউশন তাঁদের দেখানো হয়নি, এমনকী বিস্তারিত আলোচনাও হয়নি। এখানে মানিক তাঁর প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।

Madrasah Service Commission : মাদ্রাসার নিয়োগবিধিতে বদল, ১২ বছর ওএমআর সংরক্ষণ!
তবে তাঁরা এর থেকেও বেশি তাজ্জব হয়েছেন, ডিজিটাইজেশনের সময়ে ওএমআর শিটের স্ক্যানড কপি সংরক্ষণ না-হওয়ায়। রিপোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, ওএমআর শিটের স্ক্যানড কপি সংরক্ষণের বদলে শুধুমাত্র চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর-সহ বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত ইভ্যালুয়েশন শিট ডিজিটাইজ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আগামী দিনে জালিয়াতির অভিযোগ উঠলেও যাতে তা ধামাচাপা দেওয়া যায়, সেজন্যই পরিকল্পতিভাবে ওএমআর শিট নষ্ট করার আগে তার স্ক্যানড কপিও রাখা হয়নি।

স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠায় ২০২২-এর টেটের ক্ষেত্রে বিতর্ক এড়াতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, ওএমআর শিট স্ক্যান করেও তা সংরক্ষণ করা হবে। পর্ষদের বর্তমান কর্তারাও অবশ্য বুঝতে পারছেন না, যদি এর আগে ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েও থাকে, তাহলেও কেন তার স্ক্যানড কপি সংরক্ষণ করা হলো না।

Recruitment Scam : ঠিক উত্তরে সাদা কালি পরীক্ষার্থীর হাত দিয়ে? নতুন ধন্দ
তাঁদের মতে, কোনও ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রেই এটা অত্যন্ত ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত। এটা বিস্ময়করও। ২০১৬-তে এসএসসির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেখানেও সিবিআই তদন্তে জানা গিয়েছে, ওএমআর শিটে জালিয়াতি করা হয়েছিল। সেই জালিয়াতি করেই অযোগ্য প্রার্থীদের বিভিন্ন স্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

OMR Sheet Scam : ওএমআরে কারচুপি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ পিএসসি-র
আবার অনেক ক্ষেত্রে ওএমআর শিটে হোয়াইটনার ব্যবহার করে যোগ্য প্রার্থীর দেওয়া উত্তরকেও বিকৃত করা হয়েছে। এসএসসির পরীক্ষার ক্ষেত্রে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী ও মূল্যায়নকারী সংস্থা ছিল নাইসা নামে একটি সংস্থা। এক্ষেত্রেও আসল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয় বলে দাবি সিবিআইয়ের। তবে সেই ওএমআর শিটের স্ক্যানড কপি নাইসার একজন প্রাক্তন কর্তার বাড়ি থেকে সিবিআই উদ্ধার করে। তার সঙ্গে এসএসসির কাছে থাকা ওএমআর শিটের স্ক্যানড কপি পরীক্ষা করেই জালিয়াতির বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্য সেই স্ক্যানড কপিও রাখা হয়নি।

Justice Abhijit Ganguly : ‘ডু ইট নাও পদ্ধতিতে বিচার করেন…’, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দুর
সিবিআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭-এর অগস্টের মেমো অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৪-এর টেটের কনফিডেন্সিয়াল নথিপত্র ডিজিটাইজেশনের পর তা নষ্ট করে পুনর্ব্যবহারের জন্য পাঠানো হবে। সেইমতো ২০১৮-এর ফেব্রুয়ারিতে ওএমআর শিট-সহ যাবতীয় কাগজপত্র স্ক্র্যাপ করে তা একটি বেসরকারি সংস্থার ওড়িশার কারখানায় পাঠানো হয় কাগজের মণ্ড তৈরির জন্য। তদন্তকারীরা বিস্মিত, এতবড় একটা সিদ্ধান্ত পর্ষদ নিলেও কেন বোর্ডের বাকি সদস্যদের তা নিয়ে বিশদে ব্যাখ্যা করা হলো না? এটা ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে মনে করছে সিবিআই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *