রাজ্য চিকিৎসকদের ঘাটতি মেটাতে ডিপ্লোমা কোর্স করিয়ে ডাক্তার তৈরি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বামী নিগমকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সম্ভব হলে বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের নিয়োগ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন মমতা। মুখমন্ত্রিত্বের পাশাপাাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রকও মমতার অধীনে।মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশকে সামনে রেখে গোটা রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সর্বত্র এখন এই নিয়ে বিতর্ক চলছে। চিকিৎসকের একাংশের প্রশ্ন, যেখানে পাঁচ বছর পড়াশোনার পর একজন ডাক্তার তৈরি হয়, সেখানে ডিপ্লোমা কোর্স করিয়ে কীভাবে কাউকে মানুষের জীবন নিয়ে খেলার ভার দেওয়া যেতে পারে!

Mamata Banerjee News: এবার ‘ডিপ্লোমা ডাক্তার’! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি বিশিষ্ট চিকিৎসকের
মমতার এই প্রস্তাব সামনে আসার পর থেকে তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাণাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক, পেশায় চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, ‘চিকিৎসক হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তুঘলকি সিদ্ধান্ত বারবরা দেখছি। কখনও উনি বলছেন ১৪ দিনে নার্স তৈরি করবেন, কখনও বলছেন ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করবেন। ওনার মাথার ঠিক নেই। এখনও ওঁনাকে পাগলাগারদে নিয়ে যাওয়া দরকার।’

Mamata Banerjee: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো এবার ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা, প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর তথা বেসরকারি নার্সিং হোমের কর্ণধার সজল ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাব নিয়ে হেসেই খুন। তাঁর সহাস্য উক্তি, ‘ভাবছি আমিও এবার চিকিৎসক হয়েছে যাব। বাড়িতে আমার অসুস্থ বাবা রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা নিজেই করব। যদিও আমার স্ত্রী কখন অসুস্থ হলে আমার থেকে চিকিৎসা নেবেন না।’

সিপিএমের চিকিৎসক নেতা ফুয়াদ হালিম বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকের অভাবের কথা বলেছেন। ওঁনার দাবি অনুযায়ী রাজ্যে এমবিবিএস সিট বেড়েছ, তারপরও চিকিৎসক না পাওয়া গেলে সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্নে ওঠে। আসলে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই সুপার স্পেশালিটি হাসপতালের নামে ইট, পাথর সিমেন্টের করা হয়েছে। তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু হলে, আগেরগুলির মতো এই সিদ্ধান্তও বিফলে যাবে।’

Mamata Banerjee : ‘আমার মৃত্যুর পরে ওঁরা…’, মমতার মন্তব্যে তীব্র শোরগোল
মমতার প্রস্তাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেসও। বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এটা মুখ্যমন্ত্রূীর ডক্টরেট উপাধির মতো অবস্থা। ডক্টরেট উপাধি না থাকা সত্ত্বেও এক সময় তিনি তা প্রচার করেছেন। এখানকার অবস্থাও তাই হবে। এতে বাংলার মানুষ, বাঁচবে কি মরবে বুঝতেই পারছেন।’

উল্লেখ্য, এদিন নবান্ন থেকে দ্রুত পুলিশের শূন্যপদে নিয়োগের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, মাসের পর মাসের বদলে ৭ দিন প্রশিক্ষণ দিলেই চলবে। এর পর থেকে প্রত্যেক মাসে সাত দিন করে কর্মরত পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version