এই সময়: রাজভবনের অদূরে শরাফ হাউজের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রায় ২৯ ঘণ্টার পরে এক ব্যক্তির ঝলসানো দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ব্যক্তির শরীর এতটাই ঝলসে গিয়েছিল যে, প্রথমে তাঁর পরিচয়ই জানা সম্ভব হচ্ছিল না। শেষে আধপোড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের সূত্রে জানা যায়, মৃতের নাম শ্যামসুন্দর সাহা (৬৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায়। বুধবার আগুন লাগলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে শরাফ হাউজের সার্ভার রুমে তাঁর ঝলসানো দেহ উদ্ধার করেন দমকল এবং পুলিশকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বেলা ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ শ্যামসুন্দরের দেহ উদ্ধার হয়। আগুন লাগার পর থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন বলে হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি-কে বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমদল বিভাগের সঙ্গে পুলিশকর্মীরা চারতলা বহুতলের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই বিল্ডিং-এর সার্ভার রুমে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বেলা ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ শ্যামসুন্দরের দেহ উদ্ধার হয়। আগুন লাগার পর থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন বলে হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি-কে বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল। এরপর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমদল বিভাগের সঙ্গে পুলিশকর্মীরা চারতলা বহুতলের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই বিল্ডিং-এর সার্ভার রুমে।
পকেটে থাকা আধপোড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, শ্যামসুন্দর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হলেও, তাঁকে কাজে রেখে দেওয়া হয়েছিল মিশুকে স্বভাবের জন্য। অফিসকর্মীদের চা-জলখাবার দিতেন তিনি। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ শরাফ হাউজে আগুন লাগার খবর পেয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজেই গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে।
আগুন নেভানোর কাজের তদারকিও করেন তিনি। বেথুন স্কুলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দমকলের মোট ১৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় বিধ্বংসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় এক দমকলকর্মী সহ দু’জন আহত হন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে জানা যায় ভিতরে থাকা একজনের খোঁজ মিলছে না। এরপর জানানো হয় পুলিশকে।