এর পরই শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নামে। গত ৮ ই মে শ্রীরামপুরের মাহেশ থেকে সন্তু দত্ত ও রিষড়া থেকে সঞ্জীত সরকার, সঞ্জীত পাত্রকে গ্রেফতার করে। এদিকে, মূল অভিযুক্ত মাহেশ কলোনীর বাসিন্দা দীপঙ্কর মোদক ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিল।
গত শুক্রবার শ্রীরামপুর থেকে দীপঙ্কর মোদককে ও এক আইনজীবী শিব শঙ্কর ঠাকুরকে সোনারপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অরবিন্দ আনন্দ বলেন, “এদের কাছ থেকে এখনেও পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে।
ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে”। ডিসিপি আরও জানান, “ATM-এ টাকা ভরত যে এজেন্সি, সেই এজেন্সিতে কাজ করত দীপঙ্কর। অডিটে ধরা পরে টাকা লুঠের বিষয়টি। ধৃত আইনজীবী দীপঙ্করের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে টাকা লুঠ করে। লুঠ করা টাকা তাদের পরিচিতদের বাড়িতে রেখে দেয়। ধৃত আইনজীবীর বাড়ি থেকেও ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।
বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই চক্রে আরও লোক জড়িত বলে জানা গিয়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হুগলি জেলারই ব্যান্ডেল এলাকায় গত বছর দুঃসাহসিকভাবে এক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ATM মেশিন ভেঙে মোটা টাকা লুঠ করা হয়।
শহরের মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ATM ভেঙে লুঠের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ATM মেশিন ভেঙে সর্বস্ব টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। এলাকার একটি ATM লুঠের ঘটনা লক্ষ্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।