
মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা তৈরি করা হত। শুক্রবার ওড়িশার কটকের হাসপাতালে বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ও মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুর মৃত্যু হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির জন্য তৃণমূলের মদতেই খাদিকুলে বোমা তৈরি হচ্ছিল বলে দাবি বিরোধীদের। ভানু বাগের মৃত্যু নিয়ে এদিন মুখ খোলেন দিলীপ। এর পাশাপাশি তৃণমূলকেও নিশানা করতে ছাড়েননি মেদিনীপুরের সাংসদ।
নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘পাপের ফল ভোগ করেছে ভানু। তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার ছিল, তাহলে মূল তথ্য পাওয়া যেত। এখন যারা জীবিত রয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল তথ্য সামনে নিয়ে আসা উচিত।’
এই নিয়ে তৃণমূল কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘বাংলার বেশিরভাগ তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমার মশলা বা বন্দুক আছে। তাদের গায়ে পুলিশ হাত দিচ্ছে। এখন মানুষকে খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে। এগরার ঘটনার পর অনেক পরিবার এখন উপার্জনহীন। এর দায় কে নেবে এখন? দোষীদের বিরুদ্ধে এমন এমন ধারা দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও দিনও শাস্তিই হবে না। বোমা বৈধ করে সাধারণ মানুষের আয়ের রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছে।’
এগরার ঘটনা নিয়ে শুরু থেকে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তভার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি মৃত ও আহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণে আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। ঘটনার দিন সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, ‘এই ঘটনায় এআইএ তদন্ত দাবি করছে অনেকে। এনআইএ তদন্ত হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমাদের কোনও লোক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। দোষীরা যাতে শাস্তি পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’