কোন রুট দিয়ে চলাচল করবে বাসটি?
এই বাসটি হাবড়া থেকে তারাপীঠে যাবে অশোকনগর কচুয়া মোড়, বারাসাত, এয়ারপোর্ট, ডানলপ, দক্ষিণেশ্বর, বালি, ডানকুনি, শক্তিগড়, বর্ধমান, নতুনহাট, ফুটিসাঁকো, কুলি, খড়গ্রাম হয়ে।
কখন ছাড়বে এই বাস?
জানা গিয়েছে, হাবড়া থেকে এই বাস ছাড়বে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এবং তারপীঠ থেকে হাবড়ার বাস ছাড়বে ১১টা ৫৫ মিনিটে।
ভাড়া কত?
এই নির্দিষ্ট পথ যেতে কত টাকা খরচ করতে হবে যাত্রীদের? জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট এই পথ যেতে খরচ করতে হবে ১৯২ টাকা।
যাত্রীদের সুবিধার জন্য অনলাইনেও টিকিট বুকিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। www.wbtconline.in এবং www.redbus.in, এই দুটি সাইট থেকে অনলাইনে টিকিট বুক করা যাবে। অর্থাৎ কোনওভাবেই যাতে যাত্রীদের অসুবিধা না হয় এবং টিকিটের জন্য যাতে অশান্তি না হয় সেই কারণে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কাটতে হবে টিকিট। WBTC-র এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি যাত্রীরা। বিমল কর নামক এক যাত্রী বলেন, “ফলহারিনী অমাবস্যায় তারাপীঠে বহু মানুষ আমাদের এখান থেকে যান। তাঁরা এই উদ্যোগে অত্যন্ত উপকৃত হবেন। পাশপাশি অনলাইনে যদি টিকিট কাটার ব্যবস্থা করা হয় সেক্ষেত্রে ভিড় কম হবে এবং অশান্তিও হবে না। এই উদ্যোগে অত্যন্ত উপকৃত হবেন অনেকেই।”
উল্লেখ্য, ফলহারিণী অমাবস্যায় প্রত্যেক বছর তারাপীঠে অত্যন্ত ভিড় হয়। সেখানে মা তারাকে ফল দিয়ে পুজো দিলে শুভ কর্মফলের প্রাপ্তি যোগ তৈরি হয় , এই বিশ্বাস ভক্তদের মধ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন সেখানে যান পুজো দিতে। এই দিন তারামাকে ফলের ভোগ নিবেদন করলে মনের আশা পূরণ হয় বলেই বিশ্বাস করা হয়।
এই বছর ফলহানিণী পুজোয় যোগ দিতে বহু মানুষ হাবড়া থেকে তারাপীঠে গিয়েছেন। এই যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেই জন্যই এই বাসের বিশেষ উদ্যোগ। স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বাস চলাচল করায় সুবিধা হবে বলে জানান তাঁরা।