রবিবার সকালে ডানলপের দিক থেকে ব্যারাকপুরের দিকে বিটি রোড ধরে যাচ্ছিল তিনজন যুবক। তিনজন যুবকই বাইক নিয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাইক খুব জোরে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ওই তিন যুবক। গতির উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিন পানিহাটি তেঁতুলতলা মোড়ের কাছে দমকল অফিসের সামনে বিটির রোডে এক পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে খুব গতিতে ধাক্কা মারে ওই বাইক। বাইকে থাকা তিনজন যুবক বিটি রোড এর উপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন বাইক আরোহীর বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আগরপাড়া তেঁতুলতলা মোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে খড়দা থানা পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিটি রোড ধরে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চলাচলের জন্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার পরেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশেই ফায়ার বিগ্রেডের অফিস থাকায় সেখান থেকেও দমকল কর্মীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় খড়দা থানায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ” ডানলপের দিক থেকে একটি বাইক ব্যারাকপুরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটা খুব দ্রুত গতিতে ছিল। পিক আপ ভ্যানের সঙ্গে জোরে ধাক্কা মারায় ছিটকে পড়ে তিনজনে। দমকল কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।”
বিটি রোড সংলগ্ন এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই রাস্তা ধরে নিয়মিত দ্রুত গতিতে গাড়ি যাতায়াত করে। বিষয়টি পুলিশের দেখা উচিত। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ট্রাফিকের সতর্ক থাকা উচিত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিটি রোডে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, আড়িয়াদহ থেকে এক রোগীকে নিয়ে বিটি রোড ধরে যাচ্ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স। গাড়িটি ব্যারাকপুরের একটি হাসপাতালে যাচ্ছিল বলে জানা যায়। কামারহাটি পুরসভার অ্যাম্বুল্যান্স ছিল সেটি। পানিহাটি স্বদেশী মোড়ের কাছে একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে অ্যাম্বুল্যান্সটির। লরি এবং অ্যাম্বুল্যান্সটিতে সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়। ছয়জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।