আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন নোনাই নদী থেকে ডুবন্ত নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় যুবকরা। জানা গিয়েছে, এদিন আনুমানিক বিকেল ৩.৩০ মিনিট নাগাদ প্রতিবেশী বান্ধবীর সঙ্গে নোনাই নদীতে স্নান করতে যায় এলাকার বছর ৮ এর মৌমিতা। সেই সময় অপর বান্ধবী স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবতে থাকে।
তৎক্ষণাৎ বান্ধবীকে উদ্ধার করতে নদীতে নামে মৌমিতা। হাত ধরে টেনে বান্ধবীকে উদ্ধারও করে মৌমিতা। কিন্তু আচমকাই পা পিছলে নোনাই নদীর গভীর জলে ডুবে যায় সে। জলে পড়ে গিয়ে তলিয়ে যেতে থাকে মৌমিতা। মৌমিতার সঙ্গে থাকা বান্ধবী তখন চিৎকার, চেঁচামিচি শুরু করে দেয়। আশেপাশের লোকজন কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারে।
মৌমিতাকে ডুবতে দেখেই আতঙ্কে ছুটে গিয়ে ওই বান্ধবী এরপর পরিবারের লোক ও আশেপাশের বাসিন্দাদের চিৎকার করে সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপরেই ছুটে আসেন স্থানীয় যুবকরা। নদীতে ঝাঁপিয়ে পরে ডুবন্ত মৌমিতার দেহ উদ্ধারে খোঁজ শুরু করে।
পাশাপাশি, এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার। নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশ পৌঁছলেও বিপর্যয় দফতরের কর্মীদের পৌঁছতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। তখনও পর্যন্ত মৌমিতা নিখোঁজ ছিল।
এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে তাঁদের উদ্ধার কার্য শুরু করার আগেই স্থানীয় যুবকরা মৌমিতার দেহ নোনাই নদী থেকে উদ্ধার করে। সেইসময় মৌমিতার দেহ আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা না থাকায় অবশেষে মৌমিতার দেহ কোলপাঁজা করে টোটোয় চেপে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় যুবকরাই।
তাতেই প্রশাসনিক অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে পুলিশ কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে মৌমিতার দেহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌমিতা কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় পুলিশের ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।