এই চিত্র বর্ধমান শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত বৈকুন্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর খাসপাড়ার। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকা থেকে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি বলে দাবি এলাকাবাসীর। এর জন্যই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এলাকা স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিক এমনটাই।
দীর্ঘ ৩ বছর ধরে সমস্যার কথা পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রতিবাদে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের। পঞ্চায়েত প্রধান লিপি মালিকের সাফাই, “সমস্যার কথা জানি। সমাধানের জন্য বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ( বিডিএ)-কে জানানোও হয়েছে। মূলত ফান্ড ও কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্যই কাজে দেরি হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা রুনু সিং, রাখি ক্ষেত্র পাল ও মুুুনমুন বনিক-দের অভিযোগ, গোপালনগরের খাসপাড়ায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ টি পরিবার বসবাস করে। গত ৩ বছর ধরে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পরায় তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ড্রেন উপচে ড্রেনের নোংরা জল রাস্তা ও ঘরে ঢুকছে।
পাশাপাশি, ঘরে ঢুকছে নানা রকমের নোংরা পোকামাকড়। রাস্তা নোংরা জলে পরিপূর্ণ হওয়ায় একাধিক রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন না এলাকাবাসীরা। অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেড়োতেই এলাকাবাসীরা বিজেপি করে এই সন্দেহ থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি গত ৩ বছর ধরে বারংবার পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সোমবার তারা পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বিজেপি বর্ধমান যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীররঞ্জন কুমার সাউ এর জানান, পঞ্চায়েতকে নির্বাচত করারও পরও সাধারণ মানুষ তাদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধুমাত্র ওই এলাকায় বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে বলে এলাকার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পঞ্চায়েতকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি যদি তা না হয় তাহলে মানুষের স্বার্থে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস পালটা বলেন, “বিজেপির অভিযোগ করার কাজ অভিযোগ করছে। ফান্ডের একটা সমস্যা আছে তবে নিশ্চিতভাবেই পঞ্চায়েত দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবে।”