তারপর একাধিকবার দেখাও করতেন। তারপর ওই যুবতী মেলামেশা করে কখনও ধর্ষণের অভিযোগ, আবার কখনও ধর্ষণের চেষ্টা – এসবই ছিল প্রিয়াঙ্কার পরিকল্পনার মধ্যে। প্রিয়াঙ্কা খোদ BJP-র বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার হাড়োয়া বিধানসভার নেতা রাজেন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল। এবং ওই নেতা গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পাশাপাশি শাসক বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার একাধিক সম্পর্ক ছিল। সেই সুযোগে সে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করছিল। যার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও গ্রেফতার হয়েছিলেন। আসলে এর পিছনে ছিল রহস্যভরা চক্রান্ত। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এক ফন্দি।
বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ আসছিল প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে। এরপর স্বরূপনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বরূপনগর থানার পুলিশ প্রিয়াঙ্কা রায়কে গ্রেফতার করে। তাকে বসিরহাটে মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে।
ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কা জেরায় শিকার করেছে সে বেশ কয়েক বছর ধরে এই ব্ল্যাকমেলিং-এর ছক কষে লাখ লাখ টাকা তুলেছে। এর পিছনে অন্য কোনও বড়সড় প্রতারকের ছক আছে কিনা সেটাও তদন্তকারীরা দেখছেন। ইতিমধ্যে বসিরহাট মহকুমা সাইবার ক্রাইম দফতরে সাইবার অপরাধের একটি মামলা রুজু হয়েছে।
BJP নেতা রাজেন্দ্র সাহা এদিন বলেন, “একদিকে দলের নেত্রীর মেয়ে হয়ে কি করে দলকে কালিমালিপ্ত করছে! শাসক বিরোধী সব দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের আত্মসম্মান নিয়ে খেলা করছে। দল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক”। যদিও হাড়োয়া মণ্ডলের BJP মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক নমিতা রায় বলেন, “আমার মেয়েকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
কোনও টাকা পয়সা নেয়নি সে। সম্পূর্ণ মিথ্যা এই ধরনের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই”। বসিরহাট মহকুমার তৃণমূলের সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, “শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ কেউ BJP করে না। যেসব খারাপ মানুষ তৃণমূলে জায়গা পায়নি তারাই BJP দল করে। তাদেরই দলের নেতা নেত্রীরা এর সঙ্গে যুক্ত। প্রশাসন তাদের কাজ করছে”।